ফলতা: মনোনয়ন পর্ব মিটে গিয়েছে। ভোটগ্রহণ বাকি। তার আগে ফলতা থেকে বিজেপি-কে (BJP) তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি জন্য বিজেপি সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজনীতির ময়দানে পেরে না উঠে তাঁকেও তৃণমূল থেকে ভাঙানোর বা বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করলেন (Panchayat Elections 2023)। 


পঞ্চয়েত নির্বাচনের প্রচারে রবিবার ফলতায় বক্তৃতা করেন অভিষেক। সেখান থেকেই বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন। অভিষেক বলেন, "বিজেপি সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করে কেন? নিজেদের দলে শ্রীবৃদ্ধির জন্য। যেমন ভাবে মুকুল রায়, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, নারায়ণ রানে এবং শুভেন্দু অধিকারীদের ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে, তেমন ভাবে চেষ্টা করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ভাঙাও নাহলে বসিয়ে দাও, নতুবা জেলে ঢোকাও।"


বিজেপি চেষ্টা করলেও, তিনি অন্য ধাতুতে তৈরি বলে এদিন জানান অভিষেক। বলেন, "আমরা মানুষের কর্মী। মানুষের কাজ করি। যতদিন রাজনীতি করব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই করব। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরোবে। আমরা অন্য ধাতুতে তৈরি। আমরা বেইমান নই। যেদিন রাজনীতি করব না, নিষ্ক্রিয় হয়ে যাব, ভারত সেবা সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে। তার মাধ্যমেও সমাজের কাজ করা যায়। কিন্তু যতদিন রাজনীতি করব, জয় বাংলা বলব, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলব, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলব। মানুষের হয়ে কাজ করব। মাথানত করব না।"


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: সরকারি টাকায় স্যুটবুট, সানগ্লাস কিনেছেন রাজ্যপাল? রাজভবনের তহবিল অডিটের দাবি তুললেন কুণাল


এদিন সরাসরি প্রধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, "এত চেষ্টা করছে, শেষে যে নরেন্দ্র মোদির ৫৬ ইঞ্চির ছাতি, আমার তিন বছরের বাচ্চাকেও ছাড়েননি। আমার ন'বছরের মেয়েকে আটকাচ্ছে  এয়ারপোর্টে। বাইরে যেতে দেবে না। কেন না তাদের বাবার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিহারে পুনরাবৃত্তি হবে মনে রাখবেন। আপনাকেও কংগ্রেস আটকেছিল। আমেরিকা যেতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেস আমলে বিদেশমন্ত্রক ছাড়পত্র দেয়নি। রাজনীতির ময়দানে আপনি লড়ুন আমার সঙ্গে। ব্যক্তিগত ভাবে যে ভাবে আমার স্ত্রী, শিশুসন্তানকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি, মানুষ এর জবাব দেবেন।"


অভিষেক এদিন জানান, প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় নেতা। তাঁকে জবাব দেওয়ার অধিকার এবং ধৃষ্টতা তাঁর নেই। কিন্তু মানুষ জবাব দেবেন। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন। মানুষ চেয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী হন কেউ। মানুষ মনে করলে আকাশ থেকে টেনে নামাতে সময় লাগবে না।