কলকাতা: প্রাক  নির্বাচনী অশান্তি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক আরও তলানিতে এসে ঠেকেছে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) আগেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। এবার রাজ্যপালকে আক্রমণ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। সরকারি টাকায় রাজ্যপাল স্যুট, সানগ্লাস, জুতো কিনছেন কিনা, প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি।


রবিবার ট্যুইটারে রাজ্যপালকে নিশানা করেন কুণাল। তিনি লেখেন, "সম্মানীয় রাজ্যপাল কি সরকারি টাকায় জামাকাপড়, স্যুট, সানগ্লাস, জুতো কিনেছেন? যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ করেছেন। নিজের টাকায় পোশাক কেনা উচিত ওঁর। রাজভবনের তহবিলেরও অডিট হওয়া উচিত। এই অভিযোগ মিথ্যে হলে ক্ষমা চাইতে রাজি আমি।"


দায়িত্ব নিয়ে এ রাজ্যে আসার পর, গোড়ার দিকে রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক মধুর ছিল। রাজ্যপালকে আপ্যায়ন হোক বা বাংলা শেখাতে প্রতীকী হাতেখড়ির ব্যবস্থা, সবই করেছে তৃণমূল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘিরে অশান্তি, ক্রমশ সেই সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Saokat Molla Security : সওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা !


পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে অশান্তির খবর পেয়ে রাজ্যপাল একে একে ভাঙড়, ক্যানিংয়ে গেলে তৃণমূলের তরফে আক্রমণের ধার আরও বাড়ানো হয়। রাজ্যপালের ধোপদুরস্ত উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। গরমে গলাবন্ধ কোট পরে রাজ্যপাল বিজেপি-র এজেন্ট হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বল একদিন আগেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন কুণাল। এবার সরাসরি রাজ্যপালের খরচ-খরচা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।


উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফে রাজভবনকে টাকা দেওয়া হয়। রাজভবন পরিচালনার জন্য সেই টাকা ব্যবহৃত হয়। সেই সরকারি টাকারই অডিটের দাবি জানিয়েছেন কুণাল।


একদিন আগেও রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য ছিল, "রাজ্যপাল গতকাল ভরদুপুরে, গরমের মধ্যে গলাবন্ধ কোট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি বিজেপি-র ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছেন।"


রাজ্যপাল এত ভল অভিনয় করছেন যে দক্ষিণী তারকা রজনীকান্তও হার মানবেন বলে মন্তব্য করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। তাঁর বক্তব্য ছিল, "একটা কথা রাজ্যপালকে বলব, এই লাইনে না এসে, কানে একটা বিড়ি গুঁজে চশমাটা উল্টে পরুন। আমাদের সাউথের যে হিরো আছে না! রজনীকান্তেরও বাজার খারাপ হয়ে যাবে।" মদনের এই মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে পরে জানান ফিরহাদ হাকিম।