কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু দলের জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনিয়ম সংক্রান্ত যে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু (Calcutta High Court)। তার শুনানিতেই এদিন জানিয়ে দিল যে, কমিশনের কী ভূমিকা পালন করছে, তার উপরই বিজয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। (Panchayat Elections 2023)


আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী


পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। ভিডিও রেকর্ডিংও জমা দেওয়া হয়, দাবি জানানো হয় কয়েক হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের। বরং যে কয়টি বুথে নতুন করে ভোটগ্রহণ হয়েছে, সেগুলি তাদের তালিকাতেই ছিল না বলে দাবি করে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে তাই সটান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু (BJP)। সেই মামলাতেই বুধবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত।


প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে এদিন শুনানি চলছিল। সেখানে কমিশনের তরফে আজও কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, "আজকেও কমিশনের কেউ আদালতে নেই, তারা কেন সক্রিয় নয়? পুনরায় নির্বাচনের জন্য কমিশনের কাছে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী কী সিদ্ধান্ত তা জানানো উচিত ছিল। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে ফল ঘোষণার পরও রাজ্যে অশান্তি আটকাতে পারছে না কমিশন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।"আদালত আরও জানায়, ভোটের মনোনয়ন থেকে গণনা, ৩৫ দিনে ভোট সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ৪৫ জন। খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না।


আরও পড়ুন: Panchayat Election Result : বাংলা থেকে রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন কোচবিহারের অনন্ত মহারাজ


কমিশনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে এর পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, "যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে সেটা উদ্বেগের।  এই মামলার ভবিষ্যতের উপর বিজয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ভর করবে। কমিশনকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সব নথি, সিসিটিভি ফুটেজ, ব্যালট, তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে কমিশনকে।"


নির্বাচন কমিশনের হলফনামাও তলব করেছে আদালত


এ প্রসঙ্গে সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হলফনামাও তলব করেছে আদালত। আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালতে নতুন করে ৫০ হাজার বুথে ভোটগ্রহণের আর্জি জানান মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচি। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার দাবিও জানান।