কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ২৮ জন কুড়মি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রার্থীর (Kurmi Community) বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice)। বাঁকুড়ার খাতড়া ও সিমলিপাল থানায় দায়ের হওয়া ২টি মামলার প্রেক্ষিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ বিচারপতির। 


রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata high Court) দ্বারস্থ হন কুড়মি সম্প্রদায়ভুক্ত ২৮ পঞ্চায়েত প্রার্থী। এলাকার অভিযোগ জানাতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ধমক খেতে হয়েছিল, দাবি মামলাকারীদের। পরবর্তীকালে বেশ কয়েকজন কুড়মি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ, উঠেছে হেনস্তার অভিযোগ। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আমিনুল হাসানের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় দুটো মামলা রয়েছে। সেই মামলা সহ অন্য কোনও নতুন মামলায় ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। 


সম্প্রতি  পঞ্চায়েতে 'নো ভোট টু টিএমসি'র ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। দফায় দফায় বিক্ষোভ, আন্দোলন চলেছিল সেসময়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে (Panchayat Elections 2023)। এবার পঞ্চায়েতে 'নো ভোট টু টিএমসি'র ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ধৃত নেতাদের মুক্তি না দিলে, এবং কুড়মি সমাজের দাবি না মানলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হবে না। সাফ জানিয়েছিল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। 


আগামী ৮ জুলাই হতে চলেছে পঞ্চায়েতের মেগা ফাইট। তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যেই গ্রাম বাংলার হাইভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধের কথা থাকলেও, ভোটের দিন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাটকীয় মোড়। জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েত ভোটের লড়াইয়ে আন্দোলনরত কুড়মি সমাজও।এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে 'নো ভোট টু টিএমসি'র ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অশোক মাহাতো বলেছিলেন, 'আমরা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে প্রার্থী দেব। এর মধ্যে ধৃত নেতাদের মুক্তি দেওয়া না হলে, আর সিআরআই জাস্টিফিকেশন কমেন্টস না পাঠালে, অবিলম্বে আমরা প্রার্থী দেব।'


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


এ বিষয়ে পরবর্তী ঘুঁটি সাজাতে ঝাড়গ্রাম শহরের এক বেসরকারি অতিথিনিবাসে বৈঠকেও বসেছিলেন কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। গত ২৬ মে, গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়েছিল কুড়মি বিক্ষোভ। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছিল। হামলার নেপথ্যে বিজেপির যোগসাজশের দিকে আঙুল তুললেও গ্রেফতার করা হয়েছিল একের পর এক কুড়মি নেতাকে।