কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসার বহর ক্রমশ বেড়েছে।একের পর এক জেলার থেকে এসেছে খুনের খবর। আর এই হিংসা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসন লাভের আশায়। একের পর এক বুথে চলেছে দেদার ছাপ্পা ভোট। কোথাও দেখা গিয়েছে বেধড়ক মার, ভয়ে চোখের জল বের হতেও দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে যার জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এদিকে আজ মুর্শিদাবাদ-সহ প্রায় ৭০০ বুথে হচ্ছে পুনর্নির্বাচন। যদিও ছাপ্পা ভোটে নেই বিরাম আজও। আবার ফ্রেমে ফিরেছে হাসিমুখে ছাপ্পা ভোটের কাণ্ড কারখানা। যদিও গোটা ঘটনায় আজ দুপুরে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সর্বগ্রাসী খিদের বলি হয়েছেন রাজ্যের প্রান্তিক মানুষ। ভোটের নামে রাজ্যে গণহত্যার চেহারা নিয়েছে।'


'নির্বাচন কমিশনার আদালতে জানিয়েছেন ৯৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি আছে। ৫ শতাংশ বুথে ভিডিওগ্রাফি হবে বলে জানিয়েছিলেন কমিশনার। ভোটলুঠের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হবে। ২-৩ জন মিলে ১৫০-২০০ করে ভোট দিয়েছে। আঙুলের ছাপ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নির্দেশের আবেদন জানাব।' প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিগত ভোটগুলির সময় বুথে সিসিটিভি থাকলেও সেসময় নানা অভিযোগ উঠে এসেছিল। কারচুপির সময় সেটি আদৌ কি সক্রিয় ছিল, কলকাতা পুরভোটে এমন প্রশ্নও উঠে এসেছিল।


কিন্তু যেকোনও ভোটেই ছাপ্পা ভোট একটা অপরাধ। প্রত্যেকবারই হিংসাকাণ্ডের পাশাপাশি এই ইস্যু নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা যায় বিরোধী দলগুলিকে। তবে এবার পরিস্থিতিটা পুরোপুরি অন্য। কারণ বছর গড়ালেই লোকসভা ভোট। রাজ্যের এই পঞ্চায়েত ভোট তার আগের সেমিফাইনাল। তাই এই ভোটে কে কোথায় কটা আসন পেল ? কিংবা গত পঞ্চায়েতের ফলাফল কি ফের রাজ করবে জেলায় জেলায় অলিগলিতে ? প্রশ্নের অলিন্দ নিলয়ে তাই একটা বড়সড় উদ্বেগ শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই।


আরও পড়ুন, ভোট হতেই বীরভূমে NIA-র হাতে গ্রেফতার TMC প্রার্থী


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তালা ঝুলিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবং  মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে পুলিশের বচসা বেধেছিল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সরব হন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি গতকাল সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের মদতে ভোটের দিন ভোট লুঠ, ছাপ্পা, মানুষের অত্যাচার, খুন করার পর ভোট পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিশেষ করে তপন বিধানসভার অন্তর্গত এলাকায়..বিজেপি কার্যকর্তা ও গনতন্ত্র প্রেমী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের জল্লাদ বাহিনী।'