কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elctions 2023) নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় অশান্তির খবর উঠে এসেছে। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পঞ্চম দিনেও চরম অশান্তির সাক্ষী বাংলা। সেই আবহে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। দিকে দিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা, অশান্তি নিয়ে কমিশনে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে (WB Elections Commision)।
বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পঞ্চম দিন। এদিনও সকাল থেকে দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ভাঙড়ে বোমার শব্দ পাওয়া গিয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং ISF. আরবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
একই ভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে মিনাখাঁ, ক্যানিংয়েও। মিনিখাঁয় বিডিও অফিসের সামনেই বাধে তুলকালাম। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় CPM. তাদের অন্তত তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে নিরাপত্তার আবেদনও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique: ব্যস্ত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখোমুখি সাক্ষাৎ হল না, নবান্ন থেকে ফিরলেন নৌশাদ
মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যানিংও। মনোনয়ন জমা দিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতী হামলার আশঙ্কায় রাস্তা অবরোধ তৃণমূলের। আর তা নিয়ে চড়তে শুরু করে পারদ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, তাঁদের যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচুর দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তারা। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে অবরোধ শুরু করেন তৃণমূলের হাজারখানেক কর্মী সমর্থক। তাতেই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। দুই তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গিয়েছে। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও।
সেই আবহেই এদিন নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন শুভেন্দু। আদালতের নির্দেশ মেনে সুষ্ঠ এবং অবহাধ নির্বাচন করানো, মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি, সন্ত্রাস বন্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন নিয়ে কমিশনে যান তিনি। তার আগে, এদিন দুপুরে নবান্নে পৌঁছন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।