বহরমপুর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তি, হিংসার ঘটনা উঠে এসেছে। মনোনয়নপর্ব মিটে যাওয়ারও পরও অশান্তি অব্য়াহত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। বিরোধীদের উদ্দেশে দেওয়া এমন হুমকি পোস্টারও চোখে পড়েছে।


রঘুনাথগঞ্জে হুমকি পোস্টার, বাড়িতে সাদা থান পাঠানোর হুমকি!


রবিবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে এমন পোস্টার চোখে পড়ে, যাতে লেখা ছিল, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়লে বাড়িতে সাদা থান পাঠাব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়লে গ্রাম ছাড়া করা হবে। বাঁচাতে পারবে না পুলিশও'। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতেই তৃণমূলের তরফে বিরোধীদের এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


শুধু রঘুনাথগঞ্জই নয়, জয়নগরে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেখানেও বাড়িতে সাদা থান পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য সিপিএম এবং বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, চলছে বাড়ি ভাঙচুর, এমন অভিযোগও উঠছে।


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: সরকারি টাকায় স্যুটবুট, সানগ্লাস কিনেছেন রাজ্যপাল? রাজভবনের তহবিল অডিটের দাবি তুললেন কুণাল


দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমানেরও কাঁকসায় বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। থানায় শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই হামলার অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।


নদিয়ার গাংনাপুরের দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এমনই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গাংনাপুরে টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। থানার সামনেও দেখানো হয় বিক্ষোভ। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


এসব সিপিএম-এর সংস্কৃতি, তৃণমূল যুক্ত নয়, দাবি কুণালের


এ নিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এই সাদা থান পাঠানো, বিধবা করে দেওয়ার হুমকি, এসব সিপিএম-এর সংস্কৃতি। ওদের বৈশিষ্ট এসব। সিপিএম থেকে যারা বিজেপি-তে গিয়েছে, তারা করছে। এসবের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।" কিন্তু তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করলেও, আরামবাগ, ইলামবাজার, মানিকচক, কাঁকসা, মথুরাপুর, দেগঙ্গা, হাবড়া, বারাসাত, সবক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসকদল।


এই পরিস্থিতিতে কেন হাত গুটিয়ে প্রশাসন? কী করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? কবে ফিরবে হুঁশ? সেই প্রশ্নই করছে বিরোধীরা।