উত্তর দিনাজপুর: শীতলকুচির ছায়াই কি ফিরল উত্তর দিনাজপুরে ? মূলত ভোটের দিন বুথ দখল রুখতে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় গুলি চালানোর অভিযোগ। বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল, দাবি গ্রামবাসীদের। গুলিতে আহত হন এক তৃণমূল কর্মী। 'ভোট চলাকালীন বুথে গন্ডগোল, তখনই হঠাৎ গুলি চালায় বিএসএফ', প্রথমে শূন্যে গুলি চালায় বাহিনী, দাবি কংগ্রেসের।
'বুথ দখল রুখতে গুলি চালায় বিএসএফ'
'ছেলের গায়ে ৩টি গুলি লেগেছে', দাবি জখম তৃণমূলকর্মীর বাবার। বুথ দখল রুখতে গুলি চালায় বিএসএফ, দাবি কংগ্রেস কর্মীদের। 'চাকুলিয়ার একটি বুথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল', ইসলামপুর জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি। 'দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়', ভোটের পর ইসলামপুর জেলা পুলিশকে এমনটাই জানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছিল সেবার পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। শুধু আনন্দ বর্মনই নন, জোড়পাটকি গ্রামে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল মণিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের। এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
কোচবিহারের শীতলকুচি একটা বড়সড় ইস্যু
একুশের বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election 2021) কোচবিহারের শীতলকুচি একটা বড়সড় ইস্যু। আর এবার তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ১২ দিন আগে উত্তরবঙ্গের সেই কোচবিহার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবং এবারেও তাঁর বক্তব্যে উঠে এল বিএসএফ ইস্যু। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে থাকবে তৃণমূল। খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বিএসএফ ভয় দেখালে আমাদের এসে জানান। কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলি করে মারা যেন অধিকারের মধ্যে পড়ে গেছে।'
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
মূলত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ভোটের ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় কে থাকবে এ এক বরাবরের বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলে প্রতিবারই। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্য উঠে এসেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। আদালতের দ্বারস্থ হলেও শেষ অবধি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আরও একধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে শাসকদলও। যদিও কংগ্রেস, বামেদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা এনিয়ে তত্ত্ব রয়েছে।