কলকাতা: ভোট প্রচারে ভাতারে গিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর (Minakshi Mukherjee)। 'বেগড়বাই করতে এলে চাঁদি ফাটিয়ে বাড়ি যেতে হবে'। ভাতারের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর। 


তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি মীনাক্ষীর: মনোনয়ন পর্বে লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে বাংলা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শূল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বামেরা। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে প্রচারে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখান থেকেই হুঁশিয়ারি শোনা যায় মীনাক্ষীর গলায়।তিনি বলেন, “পুলিশের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে নমিনেশন করেছি আমরা? কাদের দমে নমিনেশন করেছি? মানুষ। মানুষের দমে। তাই যদি কেউ বেগড়বাই করতে আসে, তাহলে চাঁদি ফাটিয়েই বাড়ি যেতে হবে। এর অন্যথা হবে না।’’


খুন,বোমাবাজি, মারধর,সংঘর্ষ,হুমকি,হুঁশিয়ারি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই শব্দগুলোই যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ভোটের সঙ্গে।ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর  ২১ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।তাতেও, হুমকি-হুঁশিয়ারি থামার কোনও লক্ষণই নেই।উল্টে কেউ সরাসরি বিডিওদের পিঠে লাঠির ছাপ দিতে বলছেন, কারও মুখে মাথার চাঁদি ফাটানোর কথা শোনা যাচ্ছে।আবার কেউ তো প্রকাশ্যেই বলছেন, ভোট না দিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে সব সরকারি সুযোগ সুবিধা। আর হুমকি দেওয়ার এই তালিকায় ডান-বাম-রাম, কোনওপক্ষই বাদ নেই।


কয়েকদিন ধরেই প্রয়োজনের তুলনায় ব্যালট বেশি ছাপা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে এদিন হাওড়ার শ্যামপুরে প্রচারে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি! সেখানে তাঁর নিশানায় ছিলেন বিডিওরা। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বেশি বেশি করে ব্যালট ছাপা হচ্ছে। আপনারা ব্যালট বক্স পাহারা দেবেন। স্ট্রংরুমে যখন ব্যালট বক্স নিয়ে যাবে, পুলিশ যখন নিয়ে যাবে সাথে আপনারাও ঝান্ডা আর ডান্ডা নিয়ে পুলিশের পিছন পিছন যাবেন। দেখবেন পুলিশ ওখানে কোনও ডুপ্লিকেট ব্যালট, ফেক ব্যালট ঢোকাচ্ছে কিনা। আমাদের কাছে খবর আছে, বিডিওদেরকে বলা হয়েছে বেশি বেশি করে ব্যালট ছাপানোর জন্য। বিডিওরা যদি ব্যালট ছাপে, বিডিওর পেটে পিঠে লাঠির ছাপ দিয়ে দেবেন, আমি বাঁচাব তারপরে। যা হবে আমি দেখে নেব।’’

পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ার যাত্রায় বেরিয়ে গোটা রাজ্য চষে ফেলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের প্রশ্নে বারবার দাবি করেছেন সরকারের পক্ষপাতহীন ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “এই আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫টা বিধানসভায় তৃণমূলের কেউ জেতে নি। কিন্তু, একজন মহিলা, একজন কাকিমা বা বৌদি, একজনও বলতে পারে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাইনি, আর কোনওদিন ভোট চাইতে আসব না।’’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Pet Care in Monsoon: বৃষ্টির দিনে ভিজতে দেবেন না আদরের পোষ্যকে, কীভাবে খেয়াল রাখবেন ওদের?