গৌতম মণ্ডল, প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ভোটের ( Panchayat Poll ) একদিন আগে প্রাণ গিয়েছে কংগ্রেস নেতার ( Congress )_। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। সেই মৃত্যুর ঘটনায় এবার তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দক্ষিণ গাজিপুর পঞ্চায়েতে সোমবার নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারের সময় আলফাজউদ্দিনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ধৃতেরা হল খাসমুর হালদার(২৫), মনোয়ার হোসেন হালদার (২১), আমাদুল্লা হালদার(২১), আমিরুল হালদার (২৯) । এদের মধ্যে দৌলতপুর থেকে রাতে গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী নুর উদ্দিন হালদারের ২ ছেলে খাসমুর ও মনোয়ারকে। তার আগে গ্রেফতার করা হয় বাকিদের।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
গাজিপুর পঞ্চায়েতের দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন আলফাজউদ্দিন হালদার। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গাজি পঞ্চায়েতের ৮৯ নম্বর বুথের নির্দল প্রার্থী গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে প্রচার করছিলেন। তখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বচসা থেকে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় আলফাজউদ্দিনকে।
আরও পড়ুন :
উত্তপ্ত দিনহাটা , ২ কংগ্রেস কর্মীকে মারধর, ধারাল অস্ত্রের কোপ
সঙ্কটজনক অবস্থায় কুলপি, ডায়মন্ডহারবার থেকে একবালপুরের নার্সিংহোম ও শেষে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের নার্সিংহোমে। সেখানেই বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার বিকেলেই ৪ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পথে ৯টা নাগাদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ফোনে কথা বললেন মৃত কংগ্রেস কর্মী আলফাজউদ্দিনের বাবা সাহাচাঁদ হালদারের সঙ্গে। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার ভোট। এদিকে, তার আগের দিন ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ। মুর্শিদাবাদের রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরে কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকে ৩০ দিনে বাংলায় ১৮ জনের মৃত্যু হল!