কলকাতা: ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও, রবিবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাব পেল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে ফের চিঠি লিখলেন রাজীব সিন্হা। এদিকে, সূত্রের খবর, কেন্দ্রের মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে, এখনও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


বাহিনী উত্তর অধরাই: আর দু'সপ্তাহও হাতে নেই। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ কাটছে না। ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও, রবিবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাব পেল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে ফের চিঠি লিখলেন রাজীব সিন্হা। পাশাপাশি, ৩ দফা বৈঠকের পরও কোথায় কোথায় ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল।                        

আপাতত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যাঁদের রুটমার্চ করতে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের আগের চাওয়া ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এদিকে শুক্র, শনিবারের পর রবিবারও বিএসএফ-এর আইজি এবং সিআইএসএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্টের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে, এখনও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। ফলে রবিবারও, বাংলার জন্য মঞ্জুর করা কেন্দ্রের বাহিনী থেকে গেল ভিন রাজ্য়েই। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে যত দেরি হবে, ততই মাথাচাড়া দেবে সন্ত্রাস।                        

১৫ জুন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন,শুধু স্পর্শকাতর জেলায় নয়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলাতেই মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে, তৎক্ষণাৎ কেন্দ্রীয় সরকারকে তা দিতে হবে। প্রথমে ২২ ও তারপর ৩১৫ কোম্পানির পর, ২৩ জুন অর্থাৎ শুক্রবার আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। রবিবার কেন্দ্রকে ফের চিঠি লিখলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।                                              


আরও পড়ুন: Clove Farming: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা