নয়াদিল্লি: পটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে আর প্রার্থী করেছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। তাঁর পরিবর্তে রাজ্যসভার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার ভাবনা চিন্তা করছে বিজেপি। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারা জন্য ঘোরাফেরা করছে আরেক সাসংদ (রাজ্যসভা) রবীন্দ্র কিশোর সিনহার নামও।


শনিবারই বিহারের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি ও রাজ্য পার্টির নেতা নিত্যানন্দ রাইও। সেখানেই আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলেই সূত্রের খবর।


সংশ্লিষ্টমহলের একাংশ মনে করছে, সাম্প্রতিক সময়ে শত্রুঘ্ন সিনহা যেভাবে মোদি বিরোধিতায় মুখর হয়েছিলেন তাতে এটাই হয়ত হওয়ার ছিল। এখনও পর্যন্ত পাকাপাকিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও, শত্রুঘ্ন সিনহাকে যে বিজেপি আর টিকিট দিচ্ছে না তা একপ্রকার পাকাই বলা চলে। দল থেকে একাধিকবার তাঁকে সতর্ক করা হলেও শত্রুঘ্ন সিনহা নিজের অবস্থান বদল করেননি। উল্টে তেড়ে মোদি বিরোধিতা চালিয়ে গিয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আয়োজিত ব্রিগেড সমাবেশেও শত্রুঘ্ন সিনহা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব হন। নোটবন্দি, ডিমনিটাইজেশন সহ জিএসটি নিয়ে মোদিকে একহাত নিয়েছেন বিহারী বাবু। এরপর তাঁকে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন শীর্ষ বিজেপি নেতারা। তবে তিনি দল ছাড়েননি। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া শত্রুঘ্ন দলেই থেকেছেন। এমন অবস্থায় তাঁকে প্রার্থী না করে সরাসরি শত্রুঘ্ন সিনহাকে কড়া বার্তাই দিল মোদি-শাহ, মত সিংহভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।