নয়াদিল্লি: ‘আপ কি বার মোদি সরকার’। এই স্লোগানেই ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল এনডিএ জোট। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই সপ্তদশ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে গিয়েছে দেশের সব রাজনৈতিক দলই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূলও। আসন সমঝোতা করে এক কদম এগিয়ে রয়েছেন অখিলেশ-মায়াবতীরাও। এবার কোমর বেঁধে নেমে পড়ল বিজেপিও। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে ডিজিটাল প্রচার শুরু করেছে তারা। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টের নাম বদলে নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন ‘চৌকিদারির’ ব্যাটন হাতে নিয়ে লড়বেন তিনি। এবং তাঁর সঙ্গে লড়বে গোটা দল।





ট্যুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টের নাম বদলে নমো রাখলেন ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদি’। আর তাঁর দেখাদেখি, দলের সভাপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তো বটেই, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও তাঁদের নামের আগে চৌকিদারির ট্যাগ বসিয়েছেন। অমিত শাহ থেকে শুরু করে হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজয় রূপানি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মতো একঝাক নেতামন্ত্রী তাঁদের  ট্যুইটার হ্যান্ডেলের নাম বদলে ফেলেছেন।


সোশ্যাল মাধ্যেমে ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ নামেও হ্যাশট্যাগ তৈরি করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে দুর্নীতি প্রসঙ্গে মোদি বলেছিলেন, “না খাব, না খেতে দেব।” বিজেপি সভাপতি সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণে এনে দিয়ে ট্যুইটারে প্রচার চালাচ্ছেন, “চৌকিদার ফির সে।” অর্থাত্ আবার চৌকিদারের সরকারই গঠন করুক ভারতীয় জনতা, এই মর্মেই শুরু হয়েছে সোশ্যাল প্রচার।





যদিও বিজেপির এই চৌকিদারির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নেমেছে বিরোধীরাও। বিশেষ করে কংগ্রেস ও তৃণমূল। রাহুল গাঁধী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ পর্যন্ত বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একইভাবে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। ফ্রান্সের সঙ্গে রাফাল চুক্তি নিয়েই সব থেকে বেশি  আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও রয়েছে ঋণখেলাপি মামলায় নীরব মোদির পলায়ন, বিজয় মাল্যর লন্ডনে চলে যাওয়ার মতো ইস্যু। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেক দেশের চৌকিদার বলছেন, সেখানে তার আমলেই কীভাবে মেহুল চোকসি, নীরব মোদি, বিজয় মাল্যরা দেশ থেকে পালিয়ে গেল, সেবিষয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।