হলদিয়া: সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠ চাপড়ে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাল্টা মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখালেন ডোমজুড়ের বিধায়ক।

ফের রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বিকেলে প্রথমে হলদিয়া হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজনৈতিক সভায় অংশ নিলেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে বিপিসিএলের এলপিজি টার্মিনাল, ধোবি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাসলাইন ও হলদিয়ার রানিচকে একটি রেল ওভারব্রিজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সন্ধেয় কলকাতা ফিরে রাতেই দিল্লি উড়ে যাবে তাঁর বিমান। অন্যদিকে, হলদিয়ার সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে আগেই জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।

হলদিয়ায় রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন মোদি। আর তাঁর ঝাঁঝালো বক্তৃতার শেষে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীবের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন মঞ্চে দাঁড়িয়েই। একবার নয়, দুবার। পাশে তখন গোল হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আরেক তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়-রা। প্রধানমন্ত্রীর বাহবা পেয়ে যেন চোয়াল শক্ত হল রাজীবেরও। রাজনৈতিক মঞ্চে সামনে কঠিন লড়াই। তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার কথা বলে প্রত্যেক জনসভায় তোপ দাগছেন রাজীব। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দেখালেন মুষ্টিবদ্ধ হাত।

রবিবার মোদি বললেন, ‘মেদিনীপুরের পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে ধন্য মনে করছি। এই মাটিতেই তৈরি হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। মেদিনীপুরের মাটির গুণে আমি মুগ্ধ। বাংলার এই পবিত্র মাটিকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।' তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে আক্রমণের সুর চড়িয়ে মোদি আরও বলেন, 'মমতার দশ বছরের শাসনকালে শুধুই নির্মমতা দেখেছেন বাংলার মানুষ।' হলদিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, 'বাংলায় পরিবর্তন হয়নি। বাম আমলের দুর্নীতি, অপশাসনের পুনর্জন্ম হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস ও বাকিরা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ রেখে চলছে। ওরা ঠিক করে নিয়েছে, ৫ বছর একজন লুঠ করবে, পরের ৫ বছর অন্য দল।'