সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভাটপাড়া উপ নির্বাচনের সময় তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁকে অর্জুন সিং হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। শাসকদলের নেতারাই বলতে পারবেন, কীভাবে পুলিশকে টাকা দিয়ে ভোটে জেতা যায়। পাল্টা কটাক্ষ বিজেপি সাংসদের।


একজন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা। অপরজন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। আর বিধানসভা ভোটের মুখে মদন মিত্র ও অর্জুন সিংয়ের বাগ্‍যুদ্ধ চরমে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন ভাটপাড়ার তত্‍কালীন তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং। ১৯-এর নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি।


আর তাঁর ছেড়ে যাওয়া ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে অর্জুনপুত্র পবন সিংকে প্রার্থী করে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল দাঁড় করায় নেতা মদন মিত্রকে।


২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দলের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনকি বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনও রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাটপাড়া!


কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই ভোটেও অর্জুনপুত্রের কাছে হারতে হয় শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। এবার সেই নির্বাচনে হারের নেপথ্যে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুরের তত্‍কালীন পুলিশ কমিশনারকে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন মদন মিত্র!


প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার অর্জুন সিংহের কাছে টাকা নিয়েছিলেন, উপ-নির্বাচনে আমাকে হারানোর জন্য টাকা নিয়েছিল, তারপর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।


পাল্টা অর্জুন সিং প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে তখনই কেন বহিষ্কার করা হল না ব্যারাকপুরের তত্‍কালীন পুলিশ কমিশনারকে? তিনি বলেন, পুলিশ যে জেতায় বা পুলিশ হারায়, এটা মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বলতে পারবেন। তাঁর মতে সুনীল চৌধুরী যদি এটা করেই থাকেন, তবে তাঁকে বহিষ্কার করা উচিৎ ছিল মমতা সরকারের। কিন্তু মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তাঁকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছে। মদন মিত্র একটা পাগল।


মদন মিত্র জানান, অর্জুনের বিপক্ষে তিনি এখন প্রস্তুত। বলেন, এমন রাজনৈতিক বোমা মারব যে আঁচ নেওয়ার মতো হিম্মত অর্জুনের পরিবারের থাকবে না। পাল্টা বিজেপি সাংসদ বলেন, ওর হুঁশ নেই। লিভার, কিডনি, মাথা সব খারাপ। আমার ছেলের কাছে হেরেছে। ৭৫ বছর বয়স হয়েছে। এই বয়সে কি খেলবে, পিংপং?


সামনে আরও একটা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে দুপক্ষের তরজায় ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি।