কলকাতা: খুব প্রয়োজন না হলে, কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না। জাতির উদ্দেশে ভাষণে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রীর। দেশজুড়ে উত্তরোত্তর সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। আছড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের কাছে এই আবেদেন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


এদিকে রাজ্যে চলছে বিধানসভা ভোটগ্রহণ। এখনও বাকি তিন দফার ভোট। এরই মধ্যে এরাজ্যে ৪ জনসভা রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর। কীভাবে হবে সেই জনসভা? কী বলছেন বিজেপি নেতারা?


এপ্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ভোট গণতন্ত্রের উৎসব। ভোটটা জরুরি। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ৫০০ জনের বেশি জায়গা দেওয়া হবে না। ওই সংখ্যক মানুষ নিয়েই জনসভা হবে। একই সুর শোনা গেল বিজেপি নেতা প্রণয় রায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ৫০০ জন সভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, আমরা সব রকম নিয়ম মেনে মিটিং করছি। এর থেকে প্রমাণিত হয়, আমরা কতখানি সচেতন এই ব্যাপারে। পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে আসবে। কিন্তু লোক থাকবে ৫০০ জন।


কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলছেন, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোবেন না। সেক্ষেত্রে মিটিং করবেন না কি করবেন না? প্রশ্নের উত্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, নির্বাচন প্রয়োজনীয়তার মধ্যেই পড়ে। সামনের ৫ বছর সিদ্ধান্ত হবে। পশ্চিমবঙ্গ কোনদিকে যাবে সেটা ঠিক হবে। এটা অপ্রয়োজনীয় মনে করার কোনও কারণ নেই। তাঁর কথায়, কোভিড এসেছে বলে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। একদিনের মধ্যে ১৩০ কোটি মানুষের জন্য টিকা তৈরি করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে না করেছেন। কিন্তু লকডাউনের কথা বলেননি।


এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব প্রয়োজন না হলে, কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না। এই মুহূর্তে দেশকে লকডাউনের থেকে বাঁচাতে হবে। লকডাউন এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন সর্বশেষ অস্ত্র।