কোচবিহার: 'গরম যতই হোক, সকাল সকাল ভোট দিন। আর তৃণমূলের গুন্ডারা ভোটদানে বাধা দিলে রুখে দাঁড়ান', কোচবিহারের (PM Rally In Coochbehar) সভার একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে ভোটারদের জন্য দুই 'পরামর্শ' দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে সংযোজন, 'এবার নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট কড়া। আপনার প্রত্যেকটি ভোটের মূল্য তারা জানে। তাই ভয় না পেয়ে ভোট দিতে যেতে হবে।'
বিজেপি ও...
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এবার আরও কড়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এই পথে যে বাধা রয়েছে, সে কথা স্বীকারও করে নেয় তারা। মূলত, চার প্রতিবন্ধকতাকে চিহ্নিত করেছিল কমিশন। এই চার প্রতিবন্ধকতাকে 4Ms বলে উল্লেখ করে তারা। এই চার 'M' ছিল, Muscle, Money, Misinformation, MCC Violation। পাশাপাশি জানান, নির্বাচনে হিংসা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। দেশের কোনও প্রান্তে হিংসার খবর মিললে, কমিশন কঠোর পদক্ষেপ করবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। যদিও বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, বিজেপির হয়ে কাজ করছে খোদ নির্বাচন কমিশনই। এদিন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানির হাটে সভায় বলেন, 'যার বিয়ে সে নিজেই পুরোহিত। বিজেপি আর নির্বাচন কমিশন এক হয়ে কাজ করছে। সেই কারণেই নির্বাচনী আচরণ বিধি মানে না বিজেপি।' তার পর, বিকেলে, সেই কোচবিহারেরই জনসভায় নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে এহেন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য ও বিজেপির অভিযোগ...
প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিক নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা। গত পঞ্চায়েত ভোটেও কম-বেশি এই ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়টিও। তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের ভয়ে প্রচারে যেতে পারেননি। এই অভিযোগ তুলে ভোটারদের বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে ভোট চান তিনি। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর কটাক্ষ, হারবে জেনে নাটক করে বিজেপি। তা ছাড়া, পঞ্চায়েত ভোটের গোটা পর্বে রক্তপাতের স্মৃতি এখনও স্পষ্ট। তবে সেখানে, নিহতের তালিকায় তৃণমূল কর্মীরাও ছিলেন। এবার ভোটঘোষণার সময় থেকেই আরও কড়া হওয়ার বার্তা দিয়েছে কমিশন। শেষমেশ কী বয়, তা অবশ্য সময়ই বলবে।