কলকাতা: 'কলকাতা, নদিয়া, বসিরহাটে ভোট পরবর্তী (Post Poll Violence 2024) হিংসা চলছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে উত্তরপ্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে। এনকাউন্টার হবে', হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।  রবিবা নদিয়ার কালীগঞ্জে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে বিজেপি। দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবার। ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় খুন, দাবি করছে পরিবারের। পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন, পাল্টা দাবি শাসক দলের। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাদের ধারণা, এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তার পরই এই মন্তব্য সুকান্তর।


কী বললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি?
সুকান্তর কথায়, 'ভোট-পরবর্তী হিংসা নদিয়া, বসিরহাটে শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতা মানে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র, সেখানেও আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটানো, ধমকানি-চমকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস আসলে বুঝতে পেরে গিয়েছে, তাদের সময় আসন্ন।' এর পরই রাজ্য বিজেপি সভাপতির সংযোজন, 'গুন্ডা-বদমায়েশদের বলে দিতে চাই, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যদি বিজেপিরও কোনও ঝান্ডাধারীর হাত ধরে দলে আসেন, বাঁচবেন না।উত্তরপ্রদেশ-ট্রিটমেন্ট হবে, পুরো এনকাউন্টার হবে।' উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার অপরাধ মোকাবিলায় যে কৌশল নিয়েছে, তা নেয় তার নানা মহলে আলোচিত এবং সমালোচিত। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বজ্রমুষ্ঠিতে অপরাধ-দমনের চেষ্টা যোগী-সরকারের অন্যতম ইউএসপি। অন্য পক্ষের আবার প্রশ্ন, বিনা বিচারে 'এনকাউন্টার' মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? প্রশ্ন উঠছেই। এসবের প্রেক্ষিতে সুকান্তর এহেন মন্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করতে পারে। 


নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা...
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আবার একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই রাজ্যে ভোট মানে রক্তপাত যেন দস্তুর। শেষ পঞ্চায়েত ভোটেও এই ধারা বদলায়নি। চলতি লোকসভা ভোট শেষ হতে না হতেই ফের একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কালীগঞ্জের ঘটনার পাশাপাশি, যাদবপুর, ট্যাংরাতেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ শোনা গিয়েছে। ট্যাংরায় তাপস রায়ের পোলিং এজেন্টের মাথা ফেটেছে বলে খবর। যাদবপুরের খেয়াদহে আবার ভোট মিটতেই বিজেপির বুথ সভাপতির উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। তাতেও মাথা ফাটে বিজেপির বুথ সভাপতির, হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপি নেতার দাদাকেও মারধরের অভিযোগ। পাল্টা তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, অভিযুক্ত বিজেপি। 


আরও পড়ুন:অরুণাচলে গেরুয়া ঝড়, রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরছে BJP-ই? ক্রান্তিকারি মোর্চা