পোস্টাল ব্যালট আটকে দিয়েছে শাসকদল, কমিশনে অভিযোগ সিপিএমের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 12 May 2016 02:49 PM (IST)
কলকাতা: এবার পোস্টাল ব্যালট নিয়ে বিতর্ক। সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁরা আজও পোস্টাল ব্যালট পাননি। সিপিএমের দাবি, ৫০ শতাংশ ডিএ বকেয়া থাকায় অনেকরই মনে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের ভোট বিপক্ষে যাওয়ার আশঙ্কাতেই ইচ্ছে করে পোস্টাল ব্যালট আটকে দিয়েছে শাসক শিবির। এ নিয়ে তারা কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছে। তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারী সংগঠন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হুগলির বাসিন্দা গোপাল দাস। চন্দননগরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ভোটের কাজ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, আজও পাননি। শুধু গোপাল দাসই নন, এই একই অভিযোগে, বুধবার, চন্দননগরে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন দু’শোর কাছাকাছি শিক্ষক। বৃহস্পতিবার, অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছেও তাঁদের অনেকে যান। সিপিএম এ নিয়ে নির্বাচনে কমিশনে নালিশও জানিয়েছে। তাদের অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এবার ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চার লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মী। সিপিএমপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন - কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ গুহর অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ইচ্ছে করে পোস্টাল ব্যালটগুলিকে আটকে দিয়েছে। কারণ, তাদের আশঙ্কা, সরকারি কর্মীদের সিংহভাগই তৃণমূলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন। বামেদের দাবি, ৫০ শতাংশ ডিএ বাকি বলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অনেকের মনেই ক্ষোভ রয়েছে। সেটা বুঝতে পেরেই বিভিন্ন জায়গায় পোস্টাল ব্যালট আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও এই অভিযোগ জানিয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। যদিও, তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যর দাবি, পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার কাজ করে নির্বাচন কমিশন। এতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। পোস্টাল ব্যালট আটকে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সারবত্তাহীন। সিইও দফতর সূত্রে দাবি, পোস্টাল ব্যালটগুলি পর্যায়ক্রমে বিলি করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্য প্রশাসন, কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও, যে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট বিলি করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু অনেক সময়ই শাসকের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। ভোটের লড়াই যেখানে হাড্ডাহাড্ডি, সেখানে এই পোস্ট্যাল ব্যালট অনেক সময়ই ফ্যাক্টর হয়ে যায়। কমিশন সূত্রে খবর, ১৯ মে সকাল আটটায় ভোট গণনা শুরুর আগে পর্যন্ত যে সব পোস্টাল ব্যালট জমা পড়বে, সেগুলি গণনা করা হবে।