ইসলামাবাদ: পরিবারের অনুমতি না নিয়ে একটি মেয়ের নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়েতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে খুন হলেন এক সাংবাদিক। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ঘটনা। মেয়েটির আত্মীয়স্বজনরা আজমল জোইয়া নামে ওই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, তিরিশের কোঠায় বয়স জোইয়ার। সোমবার লোধরান জেলায় তিনি মোটরবাইকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁকে নিশানা করে তিন বন্দুকধারী। মোটরবাইকে ছিলেন তাঁর এক আত্মীয়। তিনি গুলিতে মারাত্মক জখম হন। জোইয়া নিহত হন।


 

জানা গিয়েছে, মেয়েটি ও তার প্রেমিকের পাশে দাঁড়ান জোইয়া। তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার করেন যাতে ওই দম্পতিকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এতেই তিনি মেয়েটির পরিবারের চক্ষূশূল হয়ে ওঠেন।

 

পুলিশ হত্যাকারীদের একজনকে গ্রেফতার করেছে। জোইয়ার বাকি ঘাতকদের গ্রেফতারি ও তাঁর পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে পঞ্জাবের নানা শহরে সভা-সমাবেশ করছেন সাংবাদিকরা।

পাকিস্তানে বাবা-মার অমতে মেয়েরা নিজেদের পছন্দমতো বিয়ে করলে তা পরিবারের সম্মানহানি বলে দেখা হয়। নিজেদের জীবন দিয়ে মূল্য চোকাতে হয় সেই মেয়েদের। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেই মেয়েদের পাশে যাঁরা দাঁড়ান, তাঁদেরও চরম মূল্য দিতে হয়।

গত মাসেই খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে বন্ধুকে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করায় এক কিশোরীকে মেরে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।