মুজফফরপুর (বিহার): নরেন্দ্র মোদি সরকার মুদ্রাস্ফীতির রাশ টেনে ধরে রেখেছে বলে ২০০৪-এর পর এবারই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু হয়নি বলে দাবি করলেন রাজনাথ সিংহ। শুক্রবার বৈশালী লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও সওয়াল, সুষ্ঠু আর্থিক পরিচালনা ও দু্র্নীতি দমনে পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মূল্যবৃদ্ধি ভোটের ইস্যু হয়নি। শেষ এমনটা দেখা গিয়েছিল ২০০৪-এ, যখন অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে দেশে ভোট হয়েছিল। সর্বোপরি মোদি সরকার দেখিয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, আগের কংগ্রেস সরকারের মতো নয়, যারা কোনও জঙ্গি হামলার পর শ্বেত পতাকা তুলে ধরত।
বাজপেয়ী জমানায়ও কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ।
তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তারা সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় ঢুকে হামলা করে তাদের খতম করেছে। আমরা মহাকাশ যুদ্ধের ক্ষমতাও বাড়িয়েছি। তিন মিনিটের মধ্যে হামলার জবাব দিতে সক্ষম আমাদের উপগ্রহ মিসাইল।
কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে রাজনাথ বলেন, ওরা ৫৫ বছর দেশ চালিয়েছে, গরিবি হটাওয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে মানুষকে বোকা বানিয়েছে। আজও কংগ্রেসের সেই একই সুর। অন্যদিকে মোদি সরকার গরিবের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে দায়বদ্ধতার প্রমাণ রেখেছে। মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ৬৪ বছরে যত দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়েছি আমরা। ১.৩ কোটি গৃহহীন পরিবারের বাড়ির বন্দোবস্ত হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার মান অনেক উন্নত করাছে। দৈনিক গড়ে ৩২ কিমি জাতীয় সড়ক তৈরি হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের জোয়ার এসেছে।
আর্থিক ক্ষেত্রে মোদি সরকারের সাফল্যের ফিরিস্তি দিয়ে অন্তত সাড়ে সাত কোটি মানুষকে গত ৫ বছরে চরম গরিবি রেখার ওপরে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ৫ থেকে ৮ বছরে দেশে গরিবি মুছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরে এগচ্ছি আমরা। ২০২২ নাগাদ আমরা নিশ্চিত করব, দেশে একটিও পরিবার গৃহহীন, রান্নার গ্যাসের সংযোগহীন থাকবে না। কৃষকরা বছরে ৬০০০ টাকার সাহায্য পাবে। বয়স্ক পেনশনের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষার পরিসর বাড়ানো হবে।
রাজনাথের দাবি, ভারত বিশ্ব ক্রমানুসারে, নবম বৃহত্তম অর্থনীতি ছিল। মোদির শাসনে ৬য়ে উঠে এসেছে। আমাদের তিন নম্বরে উঠে আসা সময়ের অপেক্ষা।