কলকাতা: প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা থেকে প্রচার পর্ব, কম কটাক্ষ, বিদ্রুপ সইতে হয়নি। কিন্তু সবশেষে হুগলিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী, 'দিদি নং ১' থেকে এবার তাঁর নয়া পরিচয় সাংসদ। জয়ের আনন্দ রয়েছে বটে, কিন্তু সাংসদ সম্বোধনে এখনও স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না। রাজনীতিতে নয়া ইনিংসের সূচনায় সেই সব নিয়েই এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন রচনা। (Rachna Banerjee)


মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে, তাতে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন রচনা। সতীর্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রচনার এই জয় উদযাপনে কোনও খামতি রাখেননি তাঁর আবাসনের বাসিন্দারা। বুধবার সেখানে বিশেষ আয়োজন হয়েছিল, তার ফাঁকেই এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন রচনা। (Lok Sabha Elections 2024 Result)


আবাসনে জয় উদযাপনের মাঝেই এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন রচনা। তিনি বলেন, "আমি ভীষণ খুশি। সারপ্রাইজ দিয়েছেন সকলে। আমার টাওয়ারের মানুষরা এই আয়োজন করেছেন। আমার টাওয়ারেই দেব থাকে। সকলের শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছি।" আবাসনের অনেকেই ইতিমধ্যেই তাঁকে 'সাংসদ ম্যাডাম' বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছেন।


আরও পড়ুন: Saumitra Khan Exclusive : 'আমাদের অনেক নেতৃত্বর সঙ্গে তৃণমূলের গঠনমূলক সম্পর্ক হয়েছিল', জিতেই বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ


সেই নিয়ে রচনার বক্তব্য, "সকলে বলছেন বটে, অবশ্যই এর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমি কিন্তু যেমন ছিলাম, তেমনই আছি এবং একই থাকব আগামী দিনে। কাজ হয়ত বেড়ে গিয়েছে, দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। কাজ করতে হবে। কিন্তু যা ছিলাম তা-ই আছি। কেউ কেউ সাংসদ ম্যাডাম বলে ডাকছেন। আমি ওঁদের বলছি যে, প্লিজ আমাকে ওই নামে ডাকবেন না। আমি খুব সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। আমি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনাদের সকলের দিদি। সেভাবেই ডাকবেন, সেভাবেই থাকতে চাই। সাংসদের নাম নিয়ে চলতে চাই না।"


তারকাদের রাজনীতিতে পদার্পণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এমনিতেই। নির্বাচনে জিতে গেলে আর দেখা মেলে না বলে অভিযোগ-অনুযোগ শোনা যায়। কিন্তু রচনার বক্তব্য, "দেখা যাক না কী হয়! অনেক তারকাই তো এসেছেন। এসব অনেকেই বলেন। কিন্তু তেমন হলে মানুষ তারকাদের জেতাতেন না। সাধারণ মানুষই তো ভোট দিয়েছেন! কাউকে তো জোর করে ভোট দেওয়ানো হয়নি! এত শিল্পীরা জিতে আসছেন কী করে! কাজ করেন বলেই তো জিতছেন।"


সাংসদ হিসেবে তিনি কী লক্ষ্য নিয়েছেন, জানতে চাওয়া হলে, রচনা জানান, কাচ প্রচুরই আছে। এ নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে তাঁকে। হুগলি মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখোমুখি। জেলায় জেলায় গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা জানবেন। সেই অনুযায়ী, কোন কাজটা আগে হওয়া উচিত, তা ঠিক করবেন বলে জানান রচনা। মমতার সঙ্গে ইতিমধ্যেই মেসেজে কথা হয়েছে। শীঘ্রই বৈঠক রয়েছে বলে জানান রচনা। সাংসদ হিসেবে কাজ শুরু করতে, শুক্রবার দিল্লিও রওনা দিচ্ছেন রচনা।