নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে ভোটার রাজধানী দিল্লিরই। সেই মতো ষষ্ঠ দফায় মা সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে ভোট দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়াই নয় শুধু, আঙুলে কালির দাগ নিয়ে সেলফিও তুললেন তাঁরা। ভোট দিতে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা এবং তাঁদের দুই সন্তানও। ভোট দিয়ে বেরিয়ে আবারও গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করলেন তাঁরা। (Raul Gandhi)


শনিবার দেশে ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। দিল্লির সাতটি আসনে, চাঁদনি চক, উত্তর-পূর্ব দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, নয়াদিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি এবং দক্ষিণ দিল্লিতে ভোটগ্রহণ চলছে এই মুহূর্তে। সেই আবহেই সকাল সকাল নির্মাণ ভবনের বুথে ভোট দিতে হাজির হন সনিয়া এবং রাহুল। ভোট দিয়ে বেরিয়ে মাকে সঙ্গে নিয়ে সেলফিও তোলেন তিনি। (Lok Sabha Elections 2024)


পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে মায়েরসঙ্গে তোলা একটি সেলফি পোস্ট করেন রাহুল। তিনি লেখেন, 'দেশের নাগরিকবৃন্দ! প্রথম পাঁচ দফার ভোটে আপনারা মিথ্যাচার, ঘৃণা এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রোজকার জীবনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়কে সামনে রেখে ভোট দিয়েছেন। আজ ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ, আপনাদের ভোটই ঠিক করবে, আগামী দিনে ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে যুবসমাজের নিযুক্তি, প্রথম বছরে স্থায়ী পদে এক লক্ষ নিযুক্তি। দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৮৫০০ টাকা করে জমা পড়াও শুরু হবে। ঋণমুক্ত হবেন কৃষকরা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য মিলবে। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পাবেন শ্রমিকরা।"



আরও পড়ুন: Sujata Mondal: আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন সৌমিত্র,'ওঁকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনেই করি না, বললেন সুজাতা


রাহুল আরও লেখেন, "আপনাদের ভোটই আপনাদের জীবনের উন্নতি ঘটাবে, পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধানকেও রক্ষা করবে। মা এবং আমি গণতন্ত্রের এই উৎসবে ভোট দিয়ে শামিল হয়েছি। আপনারাও দলে দলে বেরিয়ে আসুন, নিজের অধিকার, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোটদান করুন।"


এদিন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কাও। তিনি বলেন, "সমস্ত অনুযোগ-দুঃখ সরিয়ে রেখে আমরা দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জন্য ভোট দিতে পারছি, তাতেই গর্ব অনুভব করছি।" ভোটদান করে বেরিয়ে রাহুল, প্রিয়ঙ্কা, রবার্ট ও প্রিয়ঙ্কার দুই সন্তান আলাদা করে ছবিও তোলেন। রাহুলের সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেন প্রিয়ঙ্কা। 



এর পাশাপাশি, দিল্লিতে আজ ভোট দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সস্ত্রীক উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব, প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও। সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ এবারই প্রতম বিজেপি-র টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও এদিন ভোট দেন। এর আগে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে দিল্লির সবক'টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেই জয়ে ধারা বজায় রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।