নয়াদিল্লি: মোদি-মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা 'ভারতরত্ন'-এ ভূষিত কর্পুরী ঠাকুরের ছেলে, রামনাথ ঠাকুর (Karpoori Thakur Son In Modi Cabinet)। সূত্রের খবর, রবিবারই শপথবাক্য পাঠ করবেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জেডি(ইউ) নেতা বলেন, 'আমার মতো সামান্য মানুষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিবার এবং দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আন্তরিক ধন্যবাদ।' প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, সকলে মিলে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন। 


খুঁটিনাটি...
১৯৮৮ সালে, কর্পুরী ঠাকুরের মৃত্যুর পর নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন রামনাথ। ২০০৫ এবং ২০১০, দু-দফায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের তত্ত্বাবধানে মন্ত্রিত্ব সামলান তিনি। জেডি(ইউ)-র তরফে দু'বার রাজ্যসভা সাংসদও হয়েছেন রামনাথ। তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁর মন্ত্রিত্বের বিষয়টি ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে, গত মার্চ মাসে, মরণোত্তর 'ভারতরত্ন' পান কর্পুরী ঠাকুর। প্রায় কাছাকাছি সময়ে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যায়। মহাগঠবন্ধন ছেড়ে ফের পুরনো সঙ্গী, বিজেপির হাত ধরে নীতীশ কুমারের দল। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বদলে যায় বিহারে ক্ষমতার বিন্যাস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নেন নীতীশ। 'ইন্ডিয়া' জোটে সামিল না হওয়া, বার বার সঙ্গী বদল ইত্যাদির মুখে নীতীশ যে যুক্তিগুলি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানের সিদ্ধান্ত। এ জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদও দিতে শোনা যায় নীতীশ কুমারকে। এবার ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই রামনাথা ঠাকুরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রাখার সিদ্ধান্ত।


আর যা...
এমনিতেই এবার একার জোরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে শরিকদলগুলির উপর তাদের ভরসা করতেই হচ্ছে। জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা যে কত বড় চাপ হতে পারে, সূত্রের খবর তা গত কয়েক দিনে ভাল মতোই টের পেয়েছেন মোদি-শাহ। শোনা যাচ্ছে, নীতীশ কুমারের দল রেলমন্ত্রক দাবি করেছিল, টিডিপি চেয়েছিল সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। বাস্তবে, কে কোনও মন্ত্রক পেলেন, সেটি হয়তো এর পরের ধাপে বোঝা যাবে। তবে, আজকের শপথগ্রহণে কোন কোন মুখ থাকছেন, সেটি নিয়েও উৎসাহ নেহাত কম নয়। এসবের মধ্যে রামনাথ ঠাকুরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির খবরে নির্দিষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন:'নিজে মারধর করে উল্টো দোষ চাপাতে চাইছেন সোহম', পাল্টা অভিযোগ হোটেল মালিকের