প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শিক্ষাসচিবকে তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ফের মণীশ জৈনকে তলব করল সিবিআই। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষাসচিবকে।  


১৫ জুন মণীশ জৈনকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, শিক্ষাসচিবের জবাবে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে  সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সমস্ত নথি কোথায় গেল? জানতে চায় সিবিআই। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন যে মণীশ জৈন তাঁর কাছে নথি পাঠাতেন। সেই বিষয়েই মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।   


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে টানা তদন্ত করে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও একাধিক বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। একাধিক তৃণমূল নেতাও গ্রেফতার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন নিয়োগে জড়িত একাধিক আধিকারিক। গত ১৩ জুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ (Partha Chatterjee) সাত জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ২৭ জুন পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জন্য সেদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারক। আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন তা বরদাস্ত করা যায় না। তা আদালতের পক্ষে অপমানজনক। এরপরই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে আদালতে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেদিন এজলাস থেকে বেরোনোর সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমি কোনও দিন আদালতকে অপমান করিনি, করবও না।'


গত মাসের শেষ দিকে আদালতে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মারা গেলে তবেই কি বিচার পাবেন, বিচারকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে গলাও ধরে আসে পার্থের। এর আগে, গত ৩০ মে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থকে। সেখানেই বিচারকের সামনে কাতর আর্তি শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। সে দিন আদালতে পার্থর স্বাস্থ্য়ের দোহাই দিয়ে মেডিক্য়াল টেস্টের কথা বলেছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেই সময়ই হাতজোড় করে কথা বলতে চান বলে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ।


আরও পড়ুন: ত্বকের এক্সফোলিয়েশন কেন প্রয়োজন? সপ্তাহে কদিন স্ক্রাব করবেন?