কলকাতা : লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে মঙ্গলবারই নিজের অভিমান প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা যাঁরা বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও। লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধির কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ইতিমধ্যেই ৩৮ জন প্রার্থীর নাম বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঘোষণা করেছে। তাতে নেই রুদ্রনীলের নাম। তাই তিনি কিছুটা হলেও মনমরা, আর সেই ভাব তিনি লুকিয়ে রাখতেও চাননি। হোলির দিন বিজেপির একাধিক গ্রুপ ছাড়েন রুদ্র। তারপর থেকেই জল্পনাটা তীব্র হয়েছিল। তারপরই এবিপি আনন্দ-র কাছে মুখ খোলেন তিনি। তবে একদিন পেরোতে না পেরোতেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি। কেন ?
পশ্চিমবঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য বিজেপি যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছে ৪০ টি নাম। আর সেই ক্যাম্পেনার লিস্টে রয়েছে রুদ্রনীলের নাম। তবে ৩৮ নম্বরে। আর তাতেই 'কৃতজ্ঞ' রুদ্রনীল। বিজেপি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ১ নম্বরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ( PM Narendra Modi ) নাম। আর তারপর রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ( President of Bharatiya Janata Party ) নাম। এরপর একে একে রয়েছে রাজনাথ সিং, অমিত শাহ. যোগী আদিত্যনাথের নাম।
বাংলার নেতাদের মধ্যে এই তালিতকায় রয়েছে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুর, স্বপন দাশগুপ্তদের নাম। রয়েছে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। তালিকার ৩৮ নম্বরে রয়েছে রুদ্রনীলের নাম। তারপর নাম রয়েছে অমিতাভ চক্রবর্তীর।
এই তালিকাপ্রকাশের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামের পাশে সবুজ টিক দিয়ে তালিকাটির ছবি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রুদ্রনীল। লিখেছেন, 'রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার মত একজন সাধারণ কর্মীর ওপরে যে ভরসা রেখেছেন, তাতে দলের পক্ষে ও লুঠেরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই আরো তীব্রতর করার করার অঙ্গীকার দৃঢ়তা পেল'
তিনি এই পোস্টে ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী , অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
বিধানসভা ভোটের মুখে রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুরে পদ্ম ফোটানোর গুরুদায়িত্ব বিজেপি সঁপেছিল একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঘোষের হাতে। তবে জিততে পারেননি। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য বঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা বাকি আর ৪টে মাত্র আসনের। রুদ্রনীল তাই আশা ছাড়ছেন না। তবে, আশাপূরণ করবে কি বিজেপি? বলবে সময়