কলকাতা: সদ্য রাজনীতি আঙিনায় পা, তারপরেই ভোটের টিকিট। চর্চা থেকে শুরু করে তর্ক-বিতর্ক, আপাতত লাইমলাইটেই রয়েছেন সায়নী ঘোষ। টলিউড অভিনেত্রীর পাশাপাশি তাঁর আরও একটি পরিচয় হল, তিনি আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। টিকিট পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ সায়নীর। লম্বা চওড়া সেই বয়ানে রইল নারীসুরক্ষা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যু। পোস্টে ঠিক কী লিখেছিলেন সায়নী?


এবিপি আনন্দর অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পরেই বিজেপির রোষের মুখে পড়েন সায়নী। এরপর সায়নীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পুরনো পোস্ট তুলে তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।  সেইসময় সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, ‘সায়নীর গায়ে কেউ হাত দিয়ে দেখুন..’


সায়নী আজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ডিয়ার বিজেপি, আপনাদের এই পার্সোনাল অ্যাটাক বা স্মিয়ার ক্যাম্পেইন, ট্রোল বা মিম আমাদের চলচ্চিত্র জগতের মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। চিরাচরিত এবং বাধাগত ফর্মুলা নিয়ে  মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি ছড়ানো, তাঁদের মনে ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল ধারনা স্থাপন করা, মেরুকরণ আপনাদের বাধাগত ছক। তবে এইটুকু মনে রাখতে হবে, যে আমরা বাংলার অনেক পুরনো সহচর। বাংলার মানুষের ভালোবাসা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। বোঝাই যাচ্ছে আপনারা একটু অস্বস্তিতে পড়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধাচরণ এটা আরও পরিষ্কার করে দিচ্ছে মানুষের কাছে। আর মেয়েদের সম্মান করা অবশ্যই আপনাদের ধাতে নেই। আর থাকবেই বা কেন!! আপনাদের দলের নেতাই যখন আদ্যাশক্তি, মহামায়া দেবী দুর্গার বংশপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আগে নিজের দলের মহিলাদের নিঃশর্তভাবে সম্মান করতে শিখুন। বেশি কথা বাড়ালে এবার আপনারাই অস্বস্তিতে পড়বেন। এছাড়াও বাংলার মানুষদের মনোভাব বা মুখের ভাষা বিষিয়ে দিতে আপনাদের জুড়ি মেলা ভার। ধার করতে আপনারা ওস্তাদ, তা আমাদের দলের থেকে নেতা হোক বা পরিবর্তনের স্লোগান।’


খোলা চিঠির শেষে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সায়নী লেখেন, ‘গ্রো আপ বিজেপি.. এত ভয় ভালো না বাবুমশাই।’



প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার পরে সায়নী বলেছিলেন, নতুন এই দায়িত্ব নিয়ে তিনি খুব উৎসাহী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন দেওয়াল লিখনের ছবিও। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর প্রার্থীপদ পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও কথা বললেই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।