হাওড়া: বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করলেন জটু লাহিড়ি। 'প্রার্থীপদ না পাওয়ায় অসম্মানিত হয়েই সিদ্ধান্ত', জানিয়েছেন শিবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। 'এরকম কোনও খবর তাঁর কাছে নেই', দাবি বিজেপির জেলা সভাপতির।


শুক্রবার, পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯১ আসনের তালিকায় ঠাঁই পাননি একাধিক নেতা-নেত্রী ও বিধায়কও। 


প্রার্থী তালিকায় নাম থাকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর অসন্তোষ বাইরে বেরিয়ে আসে। নাম না ওঠায় ইতিমধ্যেই শাসকদল ত্যাগ করে গেরুয়া  শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক চোখে পড়েছে। 


যেমন, প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালী গুহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তালিকায় নাম না থাকায় আবেগ-ক্ষোভ, কোনওটাই চেপে রাখতে পারেননি, একদা তাঁর ছায়াসঙ্গী।


 



 


এদিন, বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় দাবি করেন, ‘বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে ফোন করেছিলেন সোনালি, এনিয়ে দল চিন্তাভাবনা করছে। 


তৃণমূলত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সোনালি গুহ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন ‘সন্ধে ৭টায় দেখা করব মুকুল রায়ের সঙ্গে। প্রার্থী নয়, বিজেপিতে জায়গা পেলেই হবে।’


গতকাল প্রার্থী তালিকায় নাম না ওঠার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালি। মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দেন। বলেন, আমি দিদির বাড়ির লোক। একবার আমাকে দিদি ডেকে বলতে পারত যে এবার তোকে টিকিট দিচ্ছি না।


 



 


গতকাল সন্ধ্যায় বিজপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তৃণমূল নেতা দীনেশ বাজাজ। দাবি করেন, টিকিট না পেয়ে তিনি হতাশ। বিকলেই তিনি দলত্যাগ করেছেন। 


আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে, নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং-কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ক্ষোভে দলই ছেড়ে দিলেন বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস।