দীপক ঘোষ, কলকাতা:  টিকিট না পেয়ে এবার কী বিজেপিতে সোনালি গুহ? ‘বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে ফোন করেছিলেন সোনালি, এনিয়ে দল চিন্তাভাবনা করছে, দাবি মুকুল রায়ের। 


‘সন্ধে ৭টায় দেখা করব মুকুল রায়ের সঙ্গে। প্রার্থী নয়, বিজেপিতে জায়গা পেলেই হবে’, তৃণমূলত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সোনালি গুহর। 


এদিন বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার জানিয়ে দেন, বিজেপি প্রার্থী করতে চাইলেও তিনি রাজি হবেন না। বলেন, ‘সাতগাছিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী করলেও লড়ব না।’


তাঁর আরও দাবি, ‘অভিষেকের সচিব ফোন করে সন্ধেয় দেখা করতে বলেন। কিন্তু তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। সোনালি বলেন, ‘আমি জানিয়েছি মুকুল রায়কে অস্বস্তিতে ফেলতে পারব না।’


এখানেই শেষ নয়, এরপর আইপ্যাকের তরফেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় বলেও দাবি করেন বিদায়ী বিধায়ক। 


শুক্রবার, পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯১ আসনের তালিকায় ঠাঁই পাননি একাধিক নেতা-নেত্রী ও বিধায়কও। 


সেই বাদ পড়ার তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালী গুহর। সাতগাছিয়ায় সোনালীর বদলে মোহনচন্দ্র নস্করকে টিকিট দেয় তৃণমূল। টিকিট না পাওয়ার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালি। 


 



 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তালিকায় নাম না থাকায় আবেগ-ক্ষোভ, কোনওটাই চেপে রাখতে পারেননি, একদা তাঁর ছায়াসঙ্গী। গতকাল প্রার্থী তালিকায় নাম না ওঠার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালি।


মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দেন। বলেন, আমি দিদির বাড়ির লোক। একবার আমাকে দিদি ডেকে বলতে পারত যে এবার তোকে টিকিট দিচ্ছি না। কাঁদতে কাঁদতে সোনালি বলেন, মমতাদি এটা করতে পারেন, বিশ্বাস করতে পারছি না। 


এদিনও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সোনালি। বলেন, ‘মমতাদিই বলতে পারবেন কেন বাদ দেওয়া হল! কাল সারারাত ফোন অন রেখেছিলাম মমতাদি ফোন করেননি। মমতাদির জন্য প্রাণ উজাড় করে দিয়েছিলাম।’


সোনালির তোপ, ‘মমতাদি হয়ত চাননি আমি জ্যোতিবাবুর রেকর্ড ভাঙি। মুখ্যমন্ত্রীর দুর্মতি হয়েছে বলেই আমাকে টিকিট দেননি।’


একা সোনালি নন, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম না ওঠায় ইতিমধ্যেই শাসকদল ত্যাগ করে গেরুয়া  শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক চোখে পড়েছে। 


এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করলেন জটু লাহিড়ি। 'প্রার্থীপদ না পাওয়ায় অসম্মানিত হয়েই সিদ্ধান্ত', জানিয়েছেন শিবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। 'এরকম কোনও খবর তাঁর কাছে নেই', দাবি বিজেপির জেলা সভাপতির।


 



টিকিট না পেয়ে সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা। হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে যোগ দিলেন তিনি। 


গতকাল সন্ধ্যায় বিজপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তৃণমূল নেতা দীনেশ বাজাজ। দাবি করেন, টিকিট না পেয়ে তিনি হতাশ। বিকলেই তিনি দলত্যাগ করেছেন। 


আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে, নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং-কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ক্ষোভে দলই ছেড়ে দিলেন বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস।