কলকাতা: অভিনয় থেকে রাজনীতিতে এসেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তবে জয়ী হতে পারেননি। লোকসভা নির্বাচনে এবার যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করেছে জোড়াফুল শিবির। নামঘোষণার পর থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সায়নী। নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির হলফনামাও জমা দিলেন তিনি। (Sayani Ghosh Assets)


কমিশনে সায়নী জানিয়েছেন, ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা, ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৮০ টাকা, ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬০ টাকা, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৬০ টাকা এবং ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে ৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৯০ টাকা। (Sayani Ghosh Affidavit)


সায়নীর নামে একটি অপরাধ মামলা রয়েছে। ১৫৩, ১৫৩-এ, ৫০৬, ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, হুমকি এবং খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।


একনজরে সায়নীর সম্পত্তি



  • অস্থাবর- ২৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৬২ টাকা

  • স্থাবর- ৮০ লক্ষ টাকা

  • ঋণ- ৬২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা


আরও পড়ুন: Srijan Bhattacharya Assets: পূর্ণ সময়ের CPM কর্মী এখন লোকসভার প্রার্থী, ১ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি সৃজনের


এই মুহূর্তে সায়নীর হাতে নগদ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। যোধপুর পার্কের HDFC-তে ৪ লক্ষ ৫১৪ টাকা, গোলপার্কের HDFC-তে ৫১ হাজার ১৪১ টাকা, মায়ের সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার ৭৩৭ টাকা রয়েছে। UCO ব্যাঙ্কে ৬৩ হাজার ৯১১ টাকা, নির্বাচনী খরচের জন্য HDFC-তে ১০ হাজার টাকা, HDFC-তে আরও ১ লক্ষ ৪০ হাজার, ১০ হাজার, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা রয়েছে সায়নীর। যোধপুর পার্কের HDFC-তে ১২ হাজার ৫০০ এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা রয়েছে।


একটি LIC বাবদ বছরে ৩ হাজার ১৫৭ টাকা করে জমা দেন সায়নী। ফেরত পাবেন ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় LIC-তে বছরে ৮ হাজার ৮৩৪ টাকা করে জমা দেন, যা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। HDFC-তে ৫ লক্ষ, ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার বিমা রয়েছে তাঁর।


সায়নীর কাছে একটি Honda Jazz গাড়ি রয়েছে, যার দাম ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৩৯ টাকা। ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সোনা রয়েছে।সবমিলিয়ে সায়নীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৬২ টাকা।


গল্ফ গ্রিনে ১২৫০ স্কোয়্যার ফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে সায়নীর, তার সঙ্গে রয়েছে পার্কিংও। ২০২০ সালে ওই ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। সেই সময় ফ্ল্যাটটির দাম পড়েছিল ৮০ লক্ষ টাকা, বর্তমান বাজারমূল্য ৬২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। ফ্ল্যাট কিনতে মায়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে গৃহঋণ নিয়েছিলেন সায়নী। মোট ৬০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২০০ টাকার গৃহঋণ নেন, যার মধ্যে এখনও ৫৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭১০ টাকা শোধ করা বাকি।