সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভোট-সন্ত্রাস (Post Poll Violence) বিধ্বস্ত বসিরহাটের (Basirhat) ঘোজাডাঙায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ফল ঘোষণার পর বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুঠপাটের নালিশ রাজ্য বিজেপির সভাপতির কাছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙেও লুঠের অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের।
কী অভিযোগ?
বসিরহাটের ঘোজাডাঙা গ্রামে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পাখা ভেঙে নষ্ট করা হয়েছে, জিনিসপত্র চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা। শুধু তাই নয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীর পরিবারের আরও দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা ছিল। সে সব নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোনার কানের দুলও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ৮০ হাজার টাকার ভ্যানও ভাঙচুর করা হয়েছে। এই টাকাটি মহিলা সমিতি থেকে ঋণ করে কিনেছিল বিজেপি কর্মীর পরিবার। পরিবর্তে, সপ্তাহে ১৬০০ টাকা করে দিতে হয় ওই পরিবারটিকে, জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'আপনাকে অনুরোধ করব, এক বার এঁদের দিকে তাকাবেন। এক বার দেখবেন, আপনার দলের লম্পট, দুশ্চরিত্ররা ঠিক কী পরিণতি করেছেন এঁদের।' এই ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। বিজেপি কর্মীর পরিবারের দাবি, এখনও তাঁদের নিয়মিত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিন হাসপাতালে ভর্তি জখম বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করতে যান সুকান্ত। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর মুখে তীব্র সমালোচনা শোনা যায় তখনও। বস্তুত ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা এখনও থামছে না। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সেখানে আবার তৃণমূল কর্মীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সন্দেহের তির বিজেপির দিকে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হামলা, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি বিজেপির। খেজুরির টিকাশি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই আক্রোশে গতকাল রাতে উত্তর কলনদান গ্রামে তৃণমূল কর্মী নরেন্দ্রনাথ মাঝির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল কর্মী। বিজেপির দাবি, ভোটে জেতার পর থেকেই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূলে কোন্দল শুরু হয়েছে। তার জেরেই এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:অমানবিক ! রাস্তায় নাচতে না চাওয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে 'কটূক্তি, মারধর'