জাঙ্গিপাড়া: 'বিজেপি (BJP) জানে কেষ্টর (Anubrata Mondal) মতো গুন্ডাকে কী ভাবে সোজা করতে হয়', জাঙ্গিপাড়ার সভা (Jangipara Meeting) থেকে হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। দাবি, তুমুল ভয় সত্ত্বেও বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে এসেছেন। তবে ভোটগণনার পরেও কেউ হামলা করলে তার দায়িত্ব তিনি নেবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর।


আর কী বললেন শুভেন্দু?
'হুগলিতে বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয়নি। জাঙ্গিপাড়ায় বিডিও অফিস খোলা রেখে গ্রামে তাণ্ডব চলেছে', অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। তবে গেরুয়া শিবির যে এবার সব রকম বিরোধিতার জবাব দিতে প্রস্তুত, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, 'বিজেপি জানে কেষ্টর মতো গুন্ডাকে কীভাবে সোজা করতে হয়।' ভয়ের মুখেও বিজেপি প্রার্থীরা যে এগিয়ে এসেছেন সে কথাও মনে করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁক কথায়, 'সমস্ত হামলা সত্ত্বেও ১১৯টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি।' নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, এর পর লোকসভা ভোটে বিজয় মিছিল করতে যাবেন। তবে গণনার পরে কেউ হামলা করলে তাঁর দায়িত্ব তিনি নেবেন, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। 


কড়া আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীকে...
এদিন বিরোধী দলনেতা তীব্র আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রশ্ন করেন, 'এতদিন পঞ্চায়েত দেখিনি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাহলে কে দেখছিল, ভূত? বলছেন মানুষের পঞ্চায়েত হবে, ১০ বছর পঞ্চায়েত দেখিনি।' দুর্নীতি প্রশ্নেও ফের সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। বলেন,'গোটা গ্রামে কাঁচা বাড়ি, তৃণমূল নেতার একটা প্রাসাদের মতো বাড়ি!' কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকানোর যে অভিযোগ বার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছেন, তারও জবাব দেন শুভেন্দু। বলেন, 'আমরা ১০০দিনের টাকা আটকায়নি, চুরি আটকেছি।...হাজার হাজার কোটি নয়ছয় করেছে তৃণমূল, কেউ কিচ্ছু পায়নি। আমফান থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র, কেউ কিচ্ছু পায়নি।' ' সঙ্গে কটাক্ষ, 'দলতন্ত্র নিপাত যাবে বলে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় বিজেপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে।' সিপিএম ও কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। সিপিএম তাঁর ভাষায় 'সেটিং অপোজিশন'। বাংলায় ভোটের সময় যে অশান্তি হয়, তা অন্য কোনও রাজ্যে হয় না বলেও সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'যদি আমাদের কেউ আপনাদের কোনও দুঃখ দিয়ে থাকে আপনাদের আমি তাদের হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। যদি কেউ দুষ্টুমি করে তাহলে দুটো চড় মারবেন। আপনাদের সেই রাইট দিয়ে গেলাম।' প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের কিছুটা আগে দিদির দূত কর্মসূচিতে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়দের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শাসকদলের নেতা-কর্মীদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার মাঝেও কোচবিহার সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ সামনে এসে পড়েছিল। যে ধারায় সম্পূর্ণ ছেদ পড়েনি এখনও। 


আরও পড়ুন:উলুবেড়িয়া ১ নম্বরের বিডিও-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে