ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: লোকসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সাঁইথিয়া। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনায় তিন জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জনের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, সোমবার সন্ধ্যায় সাঁইথিয়া ইউনিয়ন বোর্ডের কাছে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতি সাবের আলি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। ঘটনায় কাজল শেখ গোষ্ঠীর তিন জন জখম হন। শোনা যাচ্ছে, সাঁইথিয়া থানার মাঠপলশার অঞ্চল সভাপতি করার কথা ছিল কাজল শেখকে। অন্তত তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবের আলি বলে দাবি। কিন্তু খাতায় কলমে আজও কাজলকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়নি। এই নিয়ে শেষ পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে ঝামেলা চলছে।  কয়েক দিন আগে তৃণমূল কর্মী সভাতে এই নিয়ে সাবের আলি গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজল গোষ্ঠীর ঝামেলা হয়। তার পরেই সোমবার সন্ধ্যার সময় কাজল শেখের সর্মথকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে।


রক্তাক্ত গলসি...
একদিকে যখন বীরভূমের সাঁইথিয়ায় শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন জখম, অন্য দিকে তখনই আবার সিপিএম নেতার বাড়ি ও গাড়িতে হামলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নং ব্লকের মহড়া গ্রামে। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে যায়। জখম অন্তত ৩ জন। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের অভিযোগ, ভোটের আগে গ্রামের ভোটারদের সন্ত্রস্ত করতেই এই হামলা। এদিন গলসি ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়ি, গাড়ি, ট্রাক্টর ও যাত্রিবাহী বাসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। আক্রান্তের পরিবারের দাবি, পুরনো মামলা না তোলায় রাতের বেলা আচমকা তাঁদের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তার পরই অমরনাথ চৌধুরী নেতৃত্বে ২০-২৫ জন তাঁদের বাড়িতে রড, লাঠি বাঁশ, নিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে। বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় চারচাকা গাড়ি,বাস ও ট্রাক্টর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গলসি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ সাবিরউদ্দিন। বলেন, 'এটা পুরনো পারিবারিক ঝামেলা।তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।দোষ ঢাকতে নিজেদের গাড়িতে ও বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে তারা।' একই দাবি, অভিযুক্ত অমরনাথ চৌধুরীর পরিবারের।  উল্টো দিকে, সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের দাবি, ভোটের আগে তাঁদের দলীয় কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে বাধা দিতেই এই 'হামলা।'


আরও পড়ুন:‘BJP রাখতে পারল না’, বলেছিলেন সেবার, ২২ মাসেই ফের পদ্মমুখী অর্জুন, ব্রিগেডেই মন পরিবর্তন