সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর বিদেশে বসে মনোনয়ন (Nomination) দাখিলের অভিযোগ। সৌদি আরবে বসে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি? এই প্রশ্ন তুলে মামলা হাইকোর্টে (High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে মামলা, আজই শুনানির সম্ভাবনা।
মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগের দিন দেশ ছাড়ার অভিযোগ। মামলাকারীর অভিযোগ, '৪ জুন সৌদি আরবে যান মইনুদ্দিন গাজি, ফিরবেন ১৬ জুলাই, উল্লেখ হজ কমিটির তথ্যে। হজ কমিটির তথ্য অনুযায়ী সশরীরে মনোনয়ন জমা দেওয়া মইনুদ্দিনের পক্ষে অসম্ভব।' শাসকদলের সঙ্গে বিডিওর যোগসাজশেই বিদেশে থেকেও মনোনয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীর।
পঞ্চায়েতের ভোট-যুদ্ধে অন্য় দেশে বসে লড়াইয়ের প্রস্তুতি তৃণমূলপ্রার্থীর। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক-প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে এমনই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিদেশে বসেই মনোনয়ন পেশ করেছেন তিনি। কীভাবে কোনও প্রার্থী বিদেশে বসে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন? এই প্রশ্ন তুল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। তাদের দাবি, ভোটের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মইনুদ্দিন গাজি। হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুন সৌদি আরবে যান। ফেরার কথা ১৬ জুলাই। সিপিএমের দাবি, তাঁর পক্ষে কোনওভাবেই মনোনয়ন পেশ করা সম্ভব নয়, যদি না শাসক দলের সঙ্গে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের কোন যোগসাজশ থাকে।
এই অভিযোগে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে মামলা দায়ের করল সিপিএম। স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছে বামেরা।
ফের ভর্ৎসনা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে:
হাইকোর্টে ফের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 'নির্বাচন কমিশনার আছেন এখনও? কমিশনে পঞ্চায়েত ভোটের নামে জানি না কী হচ্ছে এসব। নির্বাচন প্রক্রিয়া কি এখনও চলছে?' বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। ভাঙড়ে আইএসএফ-এর অভিযোগ উঠেছে যে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ওয়েবসাইটে নাম। তারপর উড়ে গিয়েছে ওয়েবসাইট থেকে তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ। ওয়েবসাইটের ভূতুড়ে আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমা দিয়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে নাম উঠেছিল। সুরক্ষা দিয়ে মনোনয়ন দমা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। আইএসএফ-এর অভিযোগ ছিল, মনোনয়ন পত্র পেশের পরে ওয়েবসাইট থেকে নাম উধাও হয়ে যায়। ১৯ তারিখ পর্যন্ত নাম থাকলেও, পরে কীভাবে নাম উধাও হল। এই নিয়ে মামলা হয়েছে। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, নিয়ম মেনে মনোনয়ন জমা করা হলেও কীভাবে নাম উধাও হল। এক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা কী, কমিশনের কী বলার রয়েছে, তা জানতে চায় হাইকোর্ট। দুপুর ২টোর মধ্যে কমিশনের জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কর্মসূত্রে প্রচুর বাইরে যেতে হয়? নজরে থাকুক এই বিষয়গুলি