কলকাতা: বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়। দুশোরও বেশি আসনে জিতে ফের বাংলার মসনদে তৃণমূল।
তবুও শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল থামছে না। গোষ্ঠীকোন্দলের শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বাগবাজারে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর বাড়ির নীচে দলীয় অফিসে ভাঙচুর। অভিযুক্ত তৃণমূলেরই আরেক গোষ্ঠী। তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজার অনুগামীদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও, তাদের পাল্টা দাবি ভাঙচুর নয়, শুধু দলীয় পতাকা খুলে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর কাঁকিনাড়ার আমবাগান এলাকায় নাচগান করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। অভিযোগ, তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন হঠাত্‍ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তখন সেখানে ছিলেন সূরজ রাও নামে এক যুবক, যিনি ছুটি কাটাতে বাড়ি এসেছিলেন। হামলার সময় বাড়িতে ঢুকে গেলেও বাড়ি থেকে বের করে ওই সূরজকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকেই দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগ! শুক্রবার দুপুরে নিউটাউনের সুড়ুঙ্গিগি এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শিবু গায়েনের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, মিছিল দলের পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ ঘোষের বাড়িতে সামনে পৌঁছলে,তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
ভোটে হেরে গেছেন। সেই আক্রোশে দলের পঞ্চায়েত সদস্য সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাণ্ডুয়ার তৃণমূল প্রার্থী রহিম নবির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূলনেত্রীর দাবি, হেরে গিয়েছে। সকালে এসে নবি-সহ কয়েকজন হুমকি দেয়। পরে এঁদের নেতৃত্বেই হামলা। পুলিশ আসে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ফের হামলা।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাণ্ডুয়ার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দুর্গাপুর। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে দলের ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের অফিসে সদলবলে হামলা চালান তৃণমূল নেতা রাজীব ঘোষ। এরপরই রাজীব ঘোষের বাড়িতে শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিমাংশু আসের নেতৃত্বে পাল্টা হামলা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে দু’পক্ষই।