পূর্ব বর্ধমান: কাল কাটোয়ায় ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দুপুরে খাবেন কৃষক পরিবারে। বর্ধমানে করবেন রোড শো। তার আগে কাটোয়া শহর ছেয়ে গেল তৃণমূলের পতাকায়।  জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ। বাগুইআটি-তে মতুয়া পরিবারের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছেন।


এবার পূর্ব বর্ধমানে কৃষকের ঘরে খাবেন বিজেপির শীর্ষ নেতা নাড্ডা।  শনিবার পূর্ব বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কর্মসূচির ফাঁকেই, কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে দুপুরে খাবেন জেপি নাড্ডা। নিজে হাতে রান্না করবেন কৃষকের স্ত্রী।  বিজেপি সূত্রে খবর, মেনুতে থাকবে ভাত,  লেবু,  শাক,  বেগুন ভাজা, আলুভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি সবজি দিয়ে ডাল,  ফুলকপির তরকারি,  চাটনি, পায়েস। এদিকে মথুরাবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, বিজেপি সভাপতি কে খেতে দেওয়ার সময় সুযোগ পেলে বলব, রাজ্য সরকার থেকে কোন সাহায্য পাইনি।  বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচি উপলক্ষ্যে পদ্ম-পতাকায় ছয়লাপ বর্ধমান শহর।

রাস্তায়  নাড্ডার বিশাল বিশাল কাটআউট। চতুর্দিকে ফ্লেক্স-ফেস্টুন।  এদিকে, এরই মধ্যে কাটোয়া-জুড়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম ঘোষাল বলেন, একটাই কারণ, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাতে বুঝতে পারে, এই এলাকা তৃণমূলের শক্ত ঘাটি। অন্যদিকে তিনি এও দাবি করেন, নাড্ডা যে পাঁচ কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো শস্য নেবেন, তারা তৃণমূল সমর্থক। তৃণমুল ইচ্ছা করলে ওই কৃষক পরিবারগুলিকে বারণ করে দিতে পারত। ওইসব পরিবার এক মুঠো শস্য বিজেপিকে দেবে ঠিকই, কিন্তু ভোট দেবে তৃণমূলকে।  অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের  বিজেপি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, তৃণমুল নাড্ডাকে স্বাগত জানানোর জন্য পতাকা লাগিয়েছে। তৃণমূলের সবাই এখন বিজেপিতে আসতে চাইছে।  শনিবার নাড্ডার কর্মসূচির আগে শুক্রবার এলাকা পরিদর্শন করে পুলিশ-প্রশাসন।