সমীরণ পাল ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁয় (Bangaon) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari Meeting) সভায় গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষn(Kunal Ghosh)। বললেন, 'একটু সতর্ক হলেই প্রাণটা বাঁচানো যেত। বিরোধী দলনেতার সভায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।' সঙ্গে প্রশ্ন, 'ওঁর অযোগ্যতার জন্য় আর কত প্রাণ যাবে?'


কী ঘটেছে সভায়?
এর আগে আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের! আর এবার পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বনগাঁয় শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী সভায় গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু। সভায় অব্য়বস্থার ফলে মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। শনিবার বিকেলে গাইঘাটার পাঁচপোতা হাইস্কুলের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী সভা ছিল। সেই সভায় গিয়েছিলেন সুটিয়া বাসিন্দা বছর ৭৭-এর হারাধন বিশ্বাস। সূত্রের খবর, সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সভায় অব্য়বস্থার ফলে মৃত্যু, এই অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ মৃতের পরিবার। মৃতের মেয়ে কৃষ্ণা চৌধুরী বলেন, 'তৃণমূল করেন, বিজেপির কেউ বুঝিয়ে সভায় নিয়ে গিয়েছিল। সভায় নিশঅচয় কোনও অসুবিধা হয়েছিল বলেই মারা গেছেন। থানায় জানিয়েছি।'আর এই ঘটনা সামনে আসতেই আসানসোল কম্বলকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ট্যুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শুভেনদু অধিকারীকে নিশানা করে লিখেছেন, গাইঘাটার সুটিয়ার পাঁচপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি মরণফাদে পরিণত হয়! জনসভার সময় একজন বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে, মিঃ অধিকারী নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে উপস্থিত ব্যক্তিরা অসহনীয় গরমে জল ছাড়াই ছিল। একটু যত্নশীল ও দায়িত্বশীল হলে এই মর্মান্তিক ঘটনা আটকানো যেত। এই প্রথমবার নয় যে, সাধারণ মানুষকে বিরোধী দলনেতার সচেতনতার অভাব ও অপরাধমূলক অবহেলার চূড়ান্ত মূল্য দিতে হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই যে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে পদপিষ্ট হয়ে ১৪ বছরের একটি মেয়ে সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়, ৮ মহিলা আহত হন। বিরোধী দলনেতার অযোগ্যতা ও মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলার জন্য় আর কত প্রাণ যাবে? খুনের রাজনীতি করছে তৃণমূল, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন:সকন্যা তিহাড়ে অনুব্রত, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি-কার্যালয়, বীরভূমে বৈতরণী পার হবে তৃণমূলের!