কলকাতা: গণনার ধারা বলছে পঞ্চায়েতে সবুজ ঝড়। সন্ধের দিকে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে লিখলেন, 'বিরোধীদের নো ভোট টু মমতা প্রচার এখন নাউ ভোট ফর মমতা। বিরোধীদের প্রচার বদলে দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ'। মনে করালেন, লোকসভার আগে এটি আসলে বিপুল জনমত।
কী জানা গেল?
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ২ হাজার ১৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছে। ১৮৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। ৭৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পেয়েছে সিপিএম, ৭৬টি পেয়েছে কংগ্রেস। ৮টি আইএসএফ এবং ৮৮টি গিয়েছে অন্যান্যদের বরাতে। পঞ্চায়েত সমিতির যতটুকু ফলাফল এসেছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ৬৭টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে তারা। ৯টি পেয়েছে বিজেপি, ২টি গিয়েছে বামেদের ঝুলিতে। সার্বিক ভাবে তৃণমূলের দাপট স্পষ্ট। তার পরই বিকেলের দিকে ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিনও ফের দাবি করেছেন, আজকের ফলাফল মোটেও জনমতের প্রতিফলন নয়।
কী বললেন শুভেন্দু?
' প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কী ভাবে লড়বে? এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়', মঙ্গলবার গণনার কিছুটা এগনোর পর বলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, 'এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওয়ার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হত। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে।' এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, 'বহু কাউন্টিং এজেন্ট ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা জনমত নয় সকলে জানেন।' বস্তুত, এদিনও নানা ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিরোধীদের তরফে। যেমন পঞ্চায়েত ভোটে জিতেও হারতে হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ইচ্ছে করে হারিয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এক প্রার্থী। মাত্র ১ ভোটে জিতে যাওয়ার পরেও হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বাসন্তীর মসজিদবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীর অভিযোগ, সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে ইচ্ছে করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের বাতিল ভোট দিয়ে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। হারার পরে বাহানা, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের ! কোথাও আবার সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে! পঞ্চায়েত ভোট গণনার মাঝে অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায়। '৪ ভোটে জিতছিলাম', দাবি হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের। কিন্তু হার এড়াতে হঠাৎই টেবিল থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট নিয়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ সিপিএমের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, বিজেপি ভোট গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করছিল, তাই ওঁদের হাত কামড় ধরি। ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। আমি ৪৬ ভোটে জিতেছি।
আরও পড়ুন:ভোটগণনার সময় বোমা ফেটে ময়নার বাকচায় হাত উড়ল ১ জনের