উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও বর্ধমান: বেলঘরিয়ায় ‘আক্রান্ত আমরা’র সদস্যদের ওপর হামলা। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সন্ধ্যায় কামারহাটি বিধানসভা এলাকার বেলঘরিয়া থানার দেশপ্রিয়ন নগরে প্রতিবাদ সভা করছিলেন ‘আক্রান্ত আমরা’ ও ‘আমানতকারী সুরক্ষা মঞ্চের’ সদস্যরা। গাইঘাটার মানবাধিককার কর্মী তথা ‘আক্রান্ত আমারা’র সদস্য নন্দদুলাল দাস যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন সভায় হামলা হয়। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা চড়াও হয়ে মাইক কেড়ে নেয়, ভাঙচুর করা হয় মঞ্চ, চেয়ার। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মঞ্চে তখন ছিলেন কামদুনির প্রতিবাদী শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, মৌসুমি কয়াল সহ অনেকে। ইটের ঘায়ে জখম হন শিক্ষক। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন মৌসুমি। অভিযোগ, এরপর উপস্থিত সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকরা। ছুটে আসে পুলিশ। নামে র‌্যাফ। লাঠিচার্জ করে এলাকা থেকে সবাইকে হঠিয়ে দেয় র‌্যাফ। এরপর রাস্তায় ব্যারিকেড করে তৃণমূল সমর্থকরা আহতদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে বাধা দেয় বলেও অভিযোগ।

এদিকে, নদিয়ার গয়েশপুরে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম’-এর সভা বানচাল করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আজ রাতে গয়েশপুরের বেদিভবন এলাকায় একটি সভার আয়োজন করে সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম। সভায় হাজির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেনরা। অভিযোগ, সভা চলাকালীন সেখানে হাজির হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁরা জানতে চান, কার অনুমতি সভা করা হচ্ছে? এরপরই সভায় হামলা হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে সভা বানচাল হয়ে যায়। তবে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বর্ধমানে সিপিএমের মিছিলে হামলা ও সিপিএম প্রার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধ। আজ সন্ধ্যায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাচেতন এলাকায় প্রচার মিছিল করে সিপিএম। মিছিল শেষ করার পর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যখন বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শাহাবুদ্দিন খানের নতৃত্বে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি, ট্যাবলো। হেনস্থা করা হয় সিপিএম প্রার্থী আইনুল হককে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করেছে সিপিএম। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, হামলা চালিয়েছে সিপিএমই।