উলুবেড়িয়া: লোকসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়া জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। মোট ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। বিজেপি-র অরুণোদয় পাল চৌধুরীকে তিনি ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৩৮৭ ভোটে পরাজিত করেছেন। উলুবেড়িয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেসের আজহার মল্লিক। তিনি মোট ৭৬ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়েছেন। (Uluberia Loksabha Election Result)


এদিন বিকেল নাগাদই সাজদার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। কমিশনের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সেই সময় সাজদার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৪৮। ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে সাজদার পিছনেই ছিলেন অরুণোদয়। ধারে কাছেও ছিলেন না আজহার। শেষ পর্যন্ত অরুণোদয় যদিও বা ২ লক্ষের কোটা পার করেন, কিন্তু সাজদাকে ছুঁতে পারেননি তিনি।


হাওড়া জেলার অন্তর্গত উলুবেড়িয়া একটি উল্লেখযোগ্য সংসদীয় কেন্দ্র। ১৯৫২ সালে এই সংসদীয় কেন্দ্র গঠিত হয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, উলুবেড়িয়ার জনসংখ্যা ২০ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৯০। ১৯৫২ সালে সেখানে কংগ্রেসের সত্যবান রায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে পূর্ণেন্দু খাঁ জয়ী হন। (Uluberia Elections Result)


 তবে মোটামুটি ভাবে উলুবেড়িয়ায় বামেদের আধিপত্য ছিল দীর্ঘদিন। প্রসাদ ভট্টাচার্য, শ্যামাপ্রসন্ন ভট্টাচার্যের পহাত ধরে উলুবেড়িয়ায় বামেদের আধিপত্যের সূচনা ঘটে। ১৯৮০ থেকে ২০০9 সাল পর্যন্ত সিপিএম-এর হান্নান মোল্লার একার আধিপত্য ছিল।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee Victory Margin: নির্বাচনের ময়দানেও 'ডায়মন্ড মডেল', ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোটে এগিয়ে অভিষেক


নয়ের দশকের শেষ দিকে সেখানে মাথা তুলতে শুরু করে তৃণমূল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেখানে খাতা খোলে তারা। তৃণমূলের টিকিটে উলুবেড়িয়ায় জয়ী হন সুলতান আহমেদ। সুলতানের মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত আসনটি তৃণমূলের হয়ে ধরে রেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী সাজদা আহমেদ। এবারও বিপুল ভোট জয়ী হলেন তিনি। ধারেকাছে নেই বিজেপি প্রার্থী।


এদিন রাজ্যে ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১২টি আসনে। কংগ্রেস একটিতে এগিয়ে রয়েছে। এদিনের জয়ের কৃতিত্ব বাংলার মানুষকেই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, বাংলাবিদ্বেষী আচরণের জন্যই বিজেপি-কে মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, এই ফলাফল কেন্দ্রে I.N.D.I.A জোটের হাত শক্ত করবে। এখন থেকে আর ইচ্ছে মতো বিল পাস করতে পারবে না বিজেপি। ইডি, সিবিআই-কেও যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করা যাবে না, সেক্ষেত্রে তাঁরাও পাল্টা জবাব দিতে তৈরি থাকবেন।