মুর্শিদাবাদ: ভোটে টিকিট না পেয়ে প্রায় প্রতিটা ভোটেই ক্ষুদ্ধ-অভিমানি মুখগুলি প্রকাশ্যে এসেছে। চব্বিশেও (Lok Sabha Election 2024) তার ব্যাতিক্রম নেই। সব দলেই একই ইস্যুতে ঝামেলা-অশান্তি। একই ছবি বারবার ফিরেছে, শুধুই বদলেছে মুখ।  এদিকে জয় আনলেই যে, পরের বারের জন্য আসন পাকা, এমন ধারণাও ভুল। ইতিমধ্যেই তার উদাহরণও মিলেছে। তবে এবার সেই সবই পেরিয়ে গেল বোধহয়। প্রার্থী 'অসন্তোষে' বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতেই হামলার অভিযোগ।গাড়িতে বিজেপি প্রার্থী (Bhagobangola BJP Candidate Vaskar Sarkar ), দলীয় কর্মীদেরই হামলা? ভগবানগোলায় (Bhagobangola By Election 2024) বিজেপিরই একাংশের বিরুদ্ধেই উঠেছে হামলার অভিযোগ।


প্রার্থী 'অসন্তোষে' BJP প্রার্থীর গাড়িতেই হামলা


বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর সরকারের সমর্থনে প্রচারের সময় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর। হামলার সময় গাড়িতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভাস্কর সরকার।  তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই হামলা, দাবি তৃণমূলের। একটু পিছনে ফিরে তাঁকালেই দেখা যায়, এখনও তরতাজা কিছু ছবি। সেবার বিধানসভা ভোটে সায়ন্তিকাকে প্রার্থী ঘোষণা করতেই ক্ষোভে ফুঁসতে দেখা গিয়েছিল দলেরই একাংশকে। দক্ষিণ আসানসোলেও দেখা গিয়েছিল সেই ছবি। সেবার বিধানসভা ভোটে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে প্রার্থী ঘোষণা করায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল শাসকদলের একাংশ। 


কেন এই জেলায় উপনির্বাচন ?


 উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি।  যার দরুণ এখানে বিধায়কের আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাই এই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এবং একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরেও। সেখানে বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাই ওই কেন্দ্রেও এবার হতে চলেছেন উপনির্বাচন। যেখানে এবার সজল ঘোষকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি।


আরও পড়ুন, টর্নেডোতে মানুষের সর্বনাশে তৃণমূলের পৌষমাস : BJP


ভোটের আগে ভুরিভুরি অভিযোগ


প্রসঙ্গত,  দোরগড়ায় ভোট। তার আগে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। দোসর এবার প্রার্থী 'অসন্তোষে' হামলার অভিযোগ।   বাংলায় বিজেপি একাধিক দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। বলতে গেলে এরাজ্যে অনেক আগেই লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। তারপর একে একে ২ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কে দাঁড়াবে, জানায় বিজেপি। সব মিলিয়ে সব জেলাতেই কম বেশি অভিমানের মুখ সামনে এসেছে। তবে সেটা শুধু বিজেপি নয়, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই।