কলকাতা: ভোটের মুখে গোসাবায় বোমা বাঁধার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম ৬ বিজেপি কর্মী। আহতদের মধ্যে দু’ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বোমা বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়। আহত ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে গোসাবা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও ফরেন্সিক দল। আহতদের পরিবারের দাবি, অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে, বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। গুরুতর জখম ৬ বিজেপি কর্মীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, প্রতিক্রিয়া বিজেপির জেলা সম্পাদকের। 


গতকাল, শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে গোসাবার বাদামতলা এলাকায়। আহতদের পরিবারের দাবি, অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে, বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া স্থানীয় নেতা বরুণ প্রামাণিকের মদতে বিজেপি কর্মী বলরাম মণ্ডলের বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।


গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ফেরার ট্রেন ধরার সময়, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতদের নাম আবু সামাদ ও শহিদুল ইসলাম ওরফে কেমিক্যাল শহিদুল।  বিস্ফোরণকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে ধৃতদের, দাবি সিআইডি-র। কেমিক্যাল শহিদুল আইইডি বিস্ফোরণে বিশেষভাবে দক্ষ বলে সিআইডি-র দাবি। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়েছে। 


গত সপ্তাহে, বেলেঘাটার দু’জায়গা বোমাবাজি।  ৩৩ পল্লিতে ডেপুটি কমিশনারের অফিসের উল্টোদিকে একটি ক্লাবের সামনে গতকাল গভীর রাতে বোমাবাজি হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি,পরপর তিনটি বোমা ছোড়া হয়। একটি বোমা পড়ে এক প্রবীণ দম্পতির বারান্দার সামনে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় বেলেঘাটা থানার পুলিশ।  ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। গতকাল রাতেই নারকেলডাঙা রেল ব্রিজের কাছে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়।  ছিঁড়ে ফেলা হয় তৃণমূলের পতাকা, ফ্লেক্স। সেই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।  এই ঘটনাতেও এখনও বিজেপির প্রতিক্রিয়া মেলেনি।