সন্দীপ সরকার, বাঁকুড়া:  আজই শেষ হচ্ছে রাজ্যে প্রথম দফা ভোটের প্রচার-পর্ব। সকাল থেকে জমজমাট প্রচার। একাধিক জেলায় বিজেপির মেগা র‍্যালি। 


বাঁকুড়ার শালতোড়া, পুরুলিয়ার মানবাজার, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে রোড শো করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় রোড শো করেন 'মহাগুরু'।  


তাঁকে দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। মানুষের উন্মাদনা দেখে মিঠুন বলেন, ‘তোমাদের ভালোবাসার কথা আমি সবসময়ই বলি। বাংলার মানুষের সঙ্গে আমার হিরো আর ফ্যানের সম্পর্ক নয়, আত্মার সম্পর্ক, হৃদয়ের সম্পর্ক। বাংলার সব গরিব মানুষের জন্য লড়তে এসেছি। বাংলার সব মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দেওয়াব। এটা আমার প্রতিশ্রুতি। সবার আশীর্বাদ কামনা করছি। 


 



 


তিনি প্রার্থী হবেন কি না, সেই নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। এদিন সেই প্রশ্ন ফের একবার করা হলে মহাগুরু জানিয়ে দেন, তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না। বললেন, আমি নির্বাচনের প্রার্থী হব না। কারণ তাহলে আমি স্বার্থপর হয়ে যাব।’


এর আগে, বাঁকুড়ায় পৌঁছে ভিড়ের চোটে তাঁকে ১৫ মিনিট হেলিকটারে বসে থাকতে হয়। পরে ভিড় সরিয়ে তাঁর রোড শো শুরু হয়। একসময় মানুষের ঢল কাটিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রোড শো করা এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছিল। যদিও, শেষমেশ, নির্বিঘ্নেই রোড শো করে তিনি। 


৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী।  আর গত রবিবার, কলকাতার ভোটার হন বাঙালিবাবু। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় বোনের বাড়ির ঠিকানায় ভোটার কার্ড তৈরি করেন মিঠুন। 


 



 


এরপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি বাংলায় বিজেপির মুখ হতে পারেন মহাগুরু? 


কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক মালা সাহার স্বামী তরুণ সাহাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। পরে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার প্রশ্নই ওঠে না। সেই থেকে ওই কেন্দ্রে বিজেপির কোনও প্রার্থী ছিল না। যা মিঠুনের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে। 


যদিও গত পরশু সেই জল্পনায় জল ঢেলে ওই কেন্দ্রে তরুণ সাহার পরিবর্তে শিবাজি সিংহ রায়কে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির।