কলকাতা: লড়াইটা কেবল দুই দলের ছিল না, ছিল নব্য বনাম পুরাতনের। একদিকে তৃণমূলের দুঁদে রাজনৈতিক নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে সদ্য রাজনীতিতে আসা রুপোলি পর্দার নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনে বেশ কাছে বেশ বড় ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে তাঁর। কিন্তু বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ভুললেন না রাজনৈতিক সৌজন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে জয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।


সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। লাইটস-ক্যামেরা-অ্যাকশানের গণ্ডি ছাড়িয়ে শ্রাবন্তী একেবারে মানুষের সঙ্গে ঘুরেছেন প্রচার করতে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে শ্রাবন্তী বলেছিলেন, ‘এতদিন সবাই আমাকে রূপোলি পর্দায় দেখেছেন। সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছি। আমারও দায়িত্ব রয়েছে মানুষদের জন্য কিছু কাজ করার। ভারতীয় জনতা পার্টি আমায় দলের সদস্য হওয়ার যোগ্য বলে মনে করেছেন, এতে আমি আপ্লুত।’ প্রচারের সময় একবারে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। ছোট ছোট মিছিলের পাশাপাশি ভোটারদের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। কেন্দ্র নিয়েও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শ্রাবন্তী। বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, 'আমি বেহালার মেয়ে।' স্লোগান দিয়েছিলেন, 'মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হবে না, উন্নয়ন চাই'।


আজ ট্যুইট করে বিজেপি প্রার্থী লিখেছিলেন, 'যাঁরা আমায় এতদিন ভালোবেসেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। এই নির্বাচনের অংশ হতে পেরে আমি ধন্য। আমার কাছে এই পুরো যাত্রাটা শিক্ষণীয় ছিল। দিদি আর সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীকে আমার শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই সমাজের ভালোর জন্যই কাজ করবেন।' এই ট্যুইটটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেন তিনি।



অন্যদিকে আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি, বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলানোর আবেদন করেছেন। ট্যুইট করে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ৫ তারিখ সকাল পৌনে এগারোটায় রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড আবহে হাতেগোণা কয়েকজন দর্শক সেখানে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।