কলকাতা: ইএম বাইপাস-আনোয়ার শাহ কানেক্টরের গাঙ্গুলিপুকুর ও শহিদনগর এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার বিকৃত করা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। গাঙ্গুলিপুকুরে বাইপাস কানেক্টর অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রায় আধঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার বিকৃত করার পাশাপাশি, ছিঁড়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের একাধিক পোস্টার-ফ্লেক্স। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি-সিপিএমের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


এদিকে গতকাল থেকেই অডিও ক্লিপ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। উল্লেখ্য, তমলুকের বিজেপি নেতাকে ফোন করে ভোটে সাহায্য করার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, অভিযোগ বিজেপির। কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারার আশঙ্কা থেকেই ফোন তৃণমূলনেত্রীর, সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের। 


নন্দীগ্রামে এবার প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর লড়াই একদা ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।  নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে তৃণমূল নেত্রী সাহায্য চেয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রলয়ের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। প্রলয় পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির সহ সভাপতি। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট। এর আগে প্রলয়কে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।


বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ করা  অডিও ক্লিপ অনুযায়ী ফোনে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ' তুমি ইয়াং ছেলে। অনেক কাজ কর। এবার আমাদের একটু সাহায্য করে দাও। দেখবে কোনও অসুবিধা হবে না'। অডিও ক্লিপে বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, 'আপনাকে দেখে আমাদের পরিবার রাজনীতি করেছে। আপনার আদর্শ মেনে রাজনীতি করেছি। ২০১১-র ভোটের ফল ঘোষণার  পর ব্রাহ্মণ ডেকে যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। ..তবুও একটা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাইনি'। এরপর নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানান বিজেপি নেতা।  প্রলয় পাল বলেন, 'দিদি আপনি যাই মনে করুন-এখন দল থেকে বেরিয়ে এসেছি..যখন যে দলের সঙ্গে রয়েছি, সেই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। যখন যে দল করি, আমার পরিবার প্রাণ দিয়ে সেই দলটাই করি। ...আমাকে ক্ষমা করুন'। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।