সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিজেপিতেও অসন্তোষ দানা বাঁধল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪টি আসনে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ দলের একাংশের। ওই আসনগুলিতে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বিক্ষুব্ধদের। আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস বিজেপি নেতৃত্বের। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটে প্রার্থীপদ নিয়ে দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ। এনিয়ে তৃণমূলের অসন্তোষের মধ্যেই, একই বিষয়ে ক্ষোভ দেখা গেল বিজেপি শিবিরেও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন গেরুয়া ব্রিগেডের বিক্ষুব্ধরা। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি নেতৃত্ব। গড়বেতার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা প্রদীপ লোধা জানান, ‘‘প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, আমরা মোদি-দিলীপের ছবি দিয়ে নির্দল হিসেবে লড়াই করব, গড়বেতা আসন বিজেপিকে তুলে দেব ৷’’
গত সপ্তাহে প্রথম ২ দফার ভোটের জন্য ৫৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি কেন্দ্রে রাজীব কুণ্ডু, গড়বেতায় মদন রুইদাস, খড়গপুর গ্রামীণে তপন ভুঁইয়া ও মেদিনীপুর সদরে প্রার্থী করা হয়েছে জেলা সভাপতি সমিত দাসকে। এরপরই শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তর বিরোধিতায় শালবনির জয়পুরে বৈঠকে বসেন বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতারা। বৈঠকেই, চারটি আসনে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধরা। শালবনি দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সম্পাদক পশুপতি দেব সিংহ জানান, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজেপি করছি, প্রার্থী পছন্দ হয়নি, তাই আমরা নির্দল হিসেবে লড়ব ৷’’
প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে ফাটল সামনে আসতেই, অস্বস্তিতে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সভাপতি ও প্রার্থী সমিত দাস জানান, ‘‘ক্ষোভের কথা শুনেছি, ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসব, পিকের টিম এর নেপথ্যে আছে ৷’’ বিরোধী শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসতেই উৎফুল্ল তৃণমূল শিবির। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি জানান, ‘‘আমরা তো বিজেপি বলে আর থাকবে না, দেখতেই পাচ্ছেন কীভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে ওদের ৷’’
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ২৭ মার্চ মেদিনীপুর সদর, শালবনি, গড়বেতা ও খড়গপুর গ্রামীণে ভোটগ্রহণ। এই অবস্থায় প্রার্থীপদ নিয়ে অসন্তোষ গেরুয়া শিবিরে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।