বোলপুর: পুলিশের সামনেই দফায় দফায় উত্তেজনা। ঘটনা বোলপুরের ইলামবাজারের ধরমপুরের। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকে বাঁশ নিয়ে তাড়া। কাঠগড়ায় তৃণমূল। অভিযোগ, বিজেপির পাল্টা হামলায় জখম হয়েছেন ৪ জন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। 


জানা গিয়েছে, ইলামবাজারে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। ভীত-সন্ত্রস্ত ভোটারদের বুথে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। ছোড়া হয় পাথরও। তৃণমূলের অভিযোগ, বোলপুরের বিজেপি প্রার্থীই গোলমাল পাকাচ্ছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী।


এদিন এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী। দেখা যায়, পুলিশ পৌঁছানোর পরেও তাঁদের সামনেও বাঁশ ছোড়া, ইটবৃষ্টিও হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে দুজনের। কিন্তু তাতে বদল হয় না পরিস্থিতির। কার্যত পুলিশ এবং বাহিনীকে উপেক্ষা করেই দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। ছোড়া হয় লাঠি, পাথর। হাতে বাঁশ নিয়ে রীতিমতো সম্মুখ-সমরে দেখা যায় দুপক্ষকেই। রণক্ষেত্রের চেহারা নেই ধরমপুর অঞ্চল। বাঁশ হাতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সরিয়ে দিতে থাকে পুলিশ। আর এই সংঘর্ষে মাথা ফাটে দুই ব্যক্তির। একজনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।


অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় লাঠি এবং পাথর দিয়ে। এদিন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, হার বুঝতে পেরে হামলা তৃণমূলের। নেপথ্যে পিসি ভাইপোর গুন্ডারা। আমি একদম ঠিক আছি। যে গাড়িতে আমি প্রচারের কাজ করেছি। সেই গাড়ি পাথর দিয়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কিছু পোষা গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে।


ঠিক কী কারণে এই ঘটনা?


বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আজ গুড়িষা অঞ্চলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। এখানে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল সহ পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছিল। আমি ভোটের দ্বিতীয়ার্ধে বেরিয়ে বিভিন্ন বুথে যায়। এই একটি বুথ দমনপুরে আমাদের ৫০০ ভোটার যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা, তাঁরা ভোট দিতে পারছিলেন না। তাঁদের গাড়িতে বসিয়ে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। আমি বুথ থেকে বেরোনোর সময়, তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী দূরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। সেই সময় পাথর ছুড়েছে গাড়িতে।“