মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: দলে বহিরাগত ইস্যুতে ক্ষোভের মধ্যেই প্রচার শুরু করলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ী। বললেন, বাংলা তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। তিনি কিছুই দিতে পারেননি। সেকথা মাথায় রেখেই রাজনীতিতে আসা। বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


অবশেষে চায়ের কাপে কিছুটা হলেও যেন স্বস্তির চুমুক। দলের অন্দরে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই, বুধবার থেকে প্রচার শুরু করলেন বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ী। পুজো দিলেন চকভবানী কালীবাড়িতে।  চায়ের দোকানে, রাস্তায় কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ী বলেন, ‘‘জেলার উন্নয়নে শিক্ষা স্বাস্থ্য যাতায়াতে জোর দেব। হিলি থেকে মেঘালয় তুরা পর্যন্ত করিডর যাতে চালু হয় তাতে গুরুত্ব থাকবে।’’


ভারত সরকারের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অশোক লাহিড়ীকে প্রথমে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু তাঁকে বহিরাগত দাবি করে বিক্ষোভে সরব হয় জেলা নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী অশোক লাহিড়িকে আলিপুরদুয়ার থেকে সরিয়ে  বালুরঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি ৷ কিন্তু বহিরাগত ইস্যুতে সেখানেও শুরু হয় বিক্ষোভ। সব বাধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত এদিন প্রচার শুরু করলেন অশোক লাহিড়ি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী অশোক লাহিড়ী বলেন, ‘‘অবিভক্ত দিনাজপুরের রায়গঞ্জে মামার বাড়ি। কলকাতাতেও বাড়ি আছে। আগামী দিনে বালুরঘাটের মানুষ যদি মেনে নেন তাহলে এখানেই থাকব। বাংলায় পড়াশোনা। বাংলাতেই বেড়ে ওঠা। বাংলা আমাকে প্রচুর দিয়েছে। কিন্তু আমি বাংলাকে কিছুই দিতে পারিনি। মূলত এই ভাবনা থেকেই রাজনীতিতে আসা।’’


বিজেপি প্রার্থী রাস্তায় নামতেই টিপ্পনী কেটেছে তৃণমূল শিবির। বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী শেখর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘উনি ভারতবর্ষের প্রধান যে অর্থব্যবস্থা সেখানে ছিলেন, তাহলে আজকে অর্থনীতিতে এই ভরাডুবিতে তাঁরও হাত রয়েছে। আমি এখানকার ভূমিপুত্র। এই জেলার জন্য এখন ভালবাসা উথলে উঠল কেন? এটা কি ভোটের ভালবাসা?’’ বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন পরামর্শদাতা, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ। অর্থনীতিবিদ হিসেবে বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে আসা অশোক লাহিড়ী রাজনীতিক হিসেবে নির্বাচনে কতটা দাগ কাটতে পারবেন, তা জানা যাবে দোসরা মে।