এবার সুর চড়িয়ে রাজ্য বিজেপির ট্যুইটার হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর পুরানো একটি ভাষণের অংশ বিশেষ পোস্ট করা হল যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও এক সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামি রীতিতে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘সংখ্যালঘু তোষণে’র নমুনা হিসাবে পোস্টটি উল্লেখ করেছে বিজেপি, বলেছে, কেন এমন ‘সংখ্যালঘু ভজনার রাজনীতি’? বাংলা বিজেপির ট্যুইটে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুষ্ঠানে ইসলামি রীতিতে প্রার্থনা করতে পারলে, কেন জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে তাঁর আপত্তি’? তোষণ? নেতাজি জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ওনার আচরণে নেতাজির ঐতিহ্য ও বাংলারই অপমান করেছেন।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে গেরুয়া শিবিরের আরেক সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আন্তর্জাতিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনও সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, গতকাল মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যা করলেন, সেটা তাঁর হিন্দু-বিরোধী মানসিকতারই প্রতিফলন, তাঁর সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির প্রয়াস। ভগবান রাম এ দেশের আত্মা। কেন ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে উনি রেগে যান? আমরা বুঝতে পারি না।
গতকাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে দর্শকদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী বলা শুরু করতে যেতেই জয় শ্রী রাম বলে সরব হন। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ভাষণা না দিয়েই নিজের আসনে গিয়ে বসেন। তবে তার আগে বলেন, কলকাতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা সরকারি সভা, রাজনৈতিক অনু্ষ্ঠান নয়। একটা সভ্যতা-ভদ্রতা, মর্যাদা থাকা উচিত। কাউকে ডেকে এনে এভাবে অসম্মান করা শোভা পায় না। আমি বলব না। জয় বাংলা. জয় হিন্দ। মুখ্যমন্ত্রীর অনুযোগ, তাঁকে এ ঘটনায় অসম্মান করা হয়েছে। তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তিনি চরম অসন্তুষ্ট। যদিও বিজেপি নেতা তথা নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র কুমার বসুর অভিমত, এমন স্লোগানে কোনও অন্যায় নেই, নেতাজির জন্মবার্ষিকীর সঙ্গে রাজনীতি জড়ানো উচিত নয়।
কংগ্রেস ও বামেরা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনাটির জন্য বিজেপিরই নিন্দা করেছে।