কলকাতা: ভোট পরবর্তী বাংলায় দুদিনের রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামীকালই রাজ্য়ে আসছেন তিনি। ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।


এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসায় বঙ্গজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কর্মীরা, এমনই অভিযোগ তুলে আগামী বুধবার দেশজুড়ে ধর্নার ডাক দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সংবাদসংস্থা এএনাইকে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সবরকম কোভিড প্রোটোকল মেনেই ধর্নায় বসবে তারা। উল্লেখযোগ্যভাবে, আগামী বুধবার ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা।


সোমবার দুপুরেই রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, রবিবার ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি-কর্মী সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধিদলের অভিযোগ ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে রাজ্যপাল রাজ্যের পুলিশকর্তাদেরও রাজভবনে ডেকে পাঠান। 


অপরদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এবার এই আবহে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।


এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আক্রান্ত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৬ জন মারা গেছে, শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।


নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই সারা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তাঁদের উৎসাহে সমাজ বিরোধীরা এবং পার্টির কর্মীরা সম্মলিতভাবে আমাদের পার্টির কর্মীদের বাড়ি দোকান সব জায়গায় আক্রমণ শুরু করেছে। পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বললে বলছে আমরা কী করব।“